Jute

কাঁচা পাট পাঠাচ্ছে না বাংলাদেশ, পাল্টা পাটের বীজ ও পণ্য না পাঠানোর আর্জি

বস্ত্রমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহকে এ নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে চটকলগুলির সংগঠন আইজেএমএ। তারা বলেছে, ৮সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ একতরফা ভাবে কাঁচা পাট রফতানি বন্ধ করায় ভারতে ঘাটতি তীব্র আকার ধারণ করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:৩২
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বাংলাদেশ কাঁচা পাটের রফতানিতে রাশ টেনেছে বেশ কিছু দিন আগেই। যার জেরে সঙ্কট গভীর হয়েছে ভারতীয় চটশিল্পের। শুক্রবার এই অভিযোগতুলে কেন্দ্রের কাছে অবিলম্বে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটিতে পাটের বীজ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা বসানোর আর্জি জানালেন চটকল মালিকেরা। নিয়ন্ত্রণ চাইলেন সেখান থেকে পাটজাত পণ্য আমদানির উপরেও। তাঁদের দাবি, বাংলাদেশের সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে ভারতের চটকলগুলি। বহু মানুষ রোজগার হারাতে বসেছেন। অথচ এ দেশের বীজ নিয়ে গিয়ে নিজেদের ফলন বাড়াচ্ছে পড়শি রাষ্ট্র। অবিলম্বে এই অসম দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ করতে উদ্যোগী হোক নয়াদিল্লি।

বস্ত্রমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহকে এ নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে চটকলগুলির সংগঠন আইজেএমএ। তারা বলেছে, ৮সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ একতরফা ভাবে কাঁচা পাট রফতানি বন্ধ করায় ভারতে ঘাটতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। যা দেশে পাটের দাম অনেকটা বাড়িয়েও দিয়েছে। জোগানের ঘাটতি ওচড়া দামের জোড়া ধাক্কা গুরুতর আর্থিক ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছে চটকলগুলিকে। এতে বাজারে চটের সরবরাহ কমতে পারে, রুজি-রুটি হারাতে পারেন লক্ষ লক্ষ কর্মী। আইজেএমএ-র দাবি, পাটের জোগান বন্ধ করে এ দেশের ক্ষতি করছে বাংলাদেশ। অথচ ভারত থেকে উন্নত মানের বীজ কিনে ভাল পাট, চটের পণ্য তৈরি করছে নিজেরা। পরে সেগুলি সস্তায় এ দেশের বাজারে ঢুকিয়ে দেশীয় উৎপাদকদের ক্ষতিও করছে। আবার বেশি ফলনের ক্ষমতাসম্পন্ন বীজ বাংলাদেশে যাওয়ায় দেশের চাষিরা তা কম পাচ্ছেন। এতেও ফলন কমছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শুধু ভারতের চাষি, চটকল মালিক, কর্মী, পাটজাত পণ্য বিক্রেতা এবং ক্রেতারা।

সংগঠনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সঞ্জয় কাজারিয়া বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ভারতে কাঁচা পাটের জোগান বন্ধ করলে আমরাই বা কেন ওদের বীজ জুগিয়ে, পাটের জিনিস কিনে সাহায্য করব? বরং ভাল মানের বেশি ফসল ফলানোর বীজ লাগিয়ে দেশে উৎপাদন বাড়ানো যায়। তাতে চাষিদের আয় বাড়বে। পাটের জোগানের সমস্যা কমবে। দেশে তৈরি পাটজাত জিনিস বিক্রি হবে বেশি।’’ দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য পাটের বীজকে কৃষিক্ষেত্রের কৌশলগত উপাদান হিসেবে দেখাতেওজোর দিয়েছেন চটকল মালিকরা। তাঁদের বার্তা, যত দিন না বাংলাদেশ পাটের রফতানি ফের স্বাভাবিক করছে, তত দিন ভারতও এই পদক্ষেপগুলি করে পাল্টা চাপ বহাল রাখুক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন