প্রতীকী চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত ৮ নভেম্বর নোট বাতিল সংক্রান্ত ঘোষণা করার আগেই যথেষ্ট সংখ্যায় নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট ছাপা হয়ে গিয়েছিল। পুরনো ৫০০ ও ১,০০০ টাকার বদলে নতুন নোট বাজারে আনার কাজে যতটা সম্ভব কম অসুবিধা ঘটানোই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্য ছিল বলে বৃহস্পতিবার জানান উর্জিত পটেল। তাই নতুন নোট মজুতের কাজ শুরু হয় মাস কয়েক আগে থেকেই। তবে গোপনীয়তা বজায় রাখতেই বিষয়টি নিয়ে আরবিআই ও কেন্দ্রের মধ্যে আলোচনার নথিপত্র রাখা হয়নি।
এ দিন আর্থিক বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে লিখিত বিবৃতিতে এ কথা জানান আরবিআই গভর্নর উর্জিত পটেল। তিনি এ কথাও জানিয়েছেন, ‘‘২০১৬-র গোড়ার দিক থেকেই এ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে শীর্ষ ব্যাঙ্কের আলোচনা শুরু হয়, যখন আরবিআই গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন রঘুরাম রাজন। তবে নোট বাতিল নিয়ে রাজন এবং কেন্দ্রীয় সরকারি কর্তাদের বৈঠকের কোনও লিখিত বিবৃতি রাখা হয়নি।’’ নোট ছাপার ক্ষমতা, কাগজ, কালির জোগান, সরবরাহ ব্যবস্থা, সব তথ্যই আরবিআই খতিয়ে দেখেছিল। কেন্দ্রের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকে
তার আদান-প্রদান চলে কয়েক মাস আগে থেকে।
গত ৮ নভেম্বর চালু থাকা মোট নোটের ৮৬ শতাংশই তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদী।