নিজস্ব চিত্র
টেলিকম সংযোগের সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নে আগামী তিন বছরে নতুন করে ৬০ হাজার কোটি টাকা ভারতে বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করল ভারতী এয়ারটেল। এক মাসও হয়নি, ভারতে ১৩ হাজার কোটি টাকা লগ্নির কথা জানিয়েছিল প্রতিদ্বন্দ্বী ভোডাফোনও।
ভারতী এয়ারটেলের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে ‘প্রজেক্ট-লিপ’ শীর্ষক দশ দফার ওই কর্মসূচি কথা সোমবার জানান সংস্থার সিইও (ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া) গোপাল ভিত্তল। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন খাতে এ দেশে তাঁরা ১ লক্ষ ৬০ কোটিরও বেশি টাকা খরচ করেছেন।
আরও আগে পরিকাঠামো সম্প্রসারণ করলে কল ড্রপ নিয়ে কি গ্রাহকদের দুর্ভোগ কিছুটা কমত না? রাত পর্যন্ত সংস্থার কাছ থেকে এ প্রশ্নের জবাব মেলেনি। তবে লগ্নির কথা ঘোষণার সময়ে ভিত্তল সেই সমস্যার দায় কার্যত কেন্দ্রের উপর চাপিয়ে দাবি করেন, কম স্পেকট্রাম হাতে থাকা ও টাওয়ার বসাতে না-পারার জন্যই সমস্যা হয়েছে।
নতুন পরিকল্পনায়, ২০১৫-’১৬ সালে ৭০ হাজারেরও বেশি ‘বেস স্টেশন’ বসাচ্ছে এয়ারটেল। তিন বছরে বসানো হবে আরও ১,৬০,০০০-এর বেশি বেস স্টেশন, যা এখনকার থেকে দ্বিগুণ। তেমনই বাড়ির মধ্যে সুষ্ঠু পরিষেবার জন্য এক লক্ষেরও বেশি ব্যবস্থা নেবে সংস্থা (যেমন স্মল সেলস, ওয়াই-ফাই হট স্পট, ইন্ডোর সলিউশন)।
মার্চের মধ্যে দেশের সব শহরে এবং আড়াই লক্ষ গ্রামে ‘মোবাইল ব্রডব্যান্ড’ পরিষেবা দেবে সংস্থাটি। তিন বছরে ৫ লক্ষেরও বেশি গ্রামে তা ছড়ানোর পরিরকল্পনা নিয়েছে তারা। এয়ারটেল দেশে ও বাইরে ৫.৫০ লক্ষ কিলোমিটার ফাইবার বসাবে ওই কর্মসূচিতে।
এত দিনের চালু পরিকঠামোরও আধুনিকীকরণ করছে সংস্থাটি। আগামী তিন বছরে পুরনো পরিকাঠামো ও বেস স্টেশন বদলে ছোট ও আধুনিক ব্যবস্থা চালু হলে গ্রাহক পরিষেবা উন্নত হবে বলে দাবি সংস্থাটির।
তেমনই ব্রডব্যান্ডের ন্যূনতম গতি ১৬ এমবিপিএস থেকে বাড়িয়ে ২০১৬ সালে ৫০ এমবিপিএস করার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে এয়ারটেল। বাড়ি পর্যন্ত অপটিকাল ফাইবার বসিয়ে ১০০ এমপিবিএস গতির ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে। প্রজেক্ট-লিপ-এর আওতায় ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য ফাইবার ও ‘ইন্টারনেট ওয়্যারলেস অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক পরিষেবার উপরও জোর দিচ্ছে তারা।