মোবাইলকে মানি ব্যাগ করার পরিষেবায় এ বার পা রাখল বিএসএনএল-ও।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির দাবি, পরিষেবা চালু হলে, মোবাইলে টাকা ভরে তা বিভিন্ন কাজে খরচ করতে পারবেন গ্রাহকেরা। এ জন্য স্টেট ব্যাঙ্কের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে সংস্থা। সব কিছু ঠিকঠাক চললে, মাস দু’য়েকের মধ্যে এই ‘মোবাইল ওয়ালেট’ পরিষেবা চালু হয়ে যাবে বলে আশাবাদী তারা।
এ দেশে টেলিকম শিল্পে ব্যবসার নতুন সম্ভাবনায়ম ক্ষেত্র হয়ে উঠছে মোবাইলকে মানি ব্যাগ হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়ার পরিষেবা। যেমন, ভোডাফোনের এম-পেসা, এয়ারটেল-মানি ইত্যাদি। সাধারণত মোবাইলে টাকা ভরেই নগদের পরিবর্তে তা অন্য কাউকে পাঠানো যায় এই ধরনের পরিষেবায়। মেটানো যায় ইলেকট্রিক, গ্যাস বা ডিটিএইচ পরিষেবার বিল। কেনা যায় নানা পণ্য-পরিষেবা। বাজারের চাহিদা মেনে এ বার এ পথে পা বাড়াল বিএসএনএল-ও।
ক্যালকাটা টেলিফোন্সের নতুন চিফ জেনারেল ম্যানেজার অমিত ভট্টাচার্যের দাবি, পরিষেবা চালু হলে প্রি-পেড গ্রাহকেরা মোবাইলে টাকা ভরে নানা কাজে তা খরচ করতে পারবেন। খরচ না-হলে, তা তুলেও নিতে পারবেন। কী ভাবে পরিষেবা দেওয়া হবে, তা নিয়ে স্টেট ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গ্রাহকদের অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে সংস্থা। যেমন, সোমবার থেকেই সারা দেশে ‘রোমিং’-মাসুল তুলে দিয়েছে তারা। রাত ৯টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ল্যান্ডলাইনে বিনামূল্যে ফোনের সুযোগও দিচ্ছে সংস্থা। অমিতবাবুর দাবি, এই সুযোগ নিতে ১ মাসে সংযোগের আবেদন বেড়েছে প্রায় ৩০%। ব্রডব্যান্ড সংযোগের আবেদনও ২০% বেড়েছে। তাঁদের দাবি, সারা দেশে ল্যান্ডলাইন পরিষেবায় এমটিএনএলের পরেই বিএসএনএল। এখনও সংস্থার আয়ের প্রায় ৬০% আসে এই ব্যবসা থেকে।
গত এক দশকে ক্যালকাটা টেলিফোন্সের ল্যান্ডলাইন গ্রাহকের সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনই বেড়েছে লোকসানের বহর। কর্তারা অবশ্য এ দিন জানান, ২০১৩-’১৪ সালের চেয়ে ২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষে ব্যবসা প্রায় ১৪ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ৬৭৫ কোটি। ২০১২-’১৩ সালের তুলনায় ২০১৩-’১৪ সালে লোকসানও অবশ্য ৩৭২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৯৮ কোটি। সংস্থার আশা, ২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষে তা ৩৬০ কোটি টাকার আশেপাশে বেঁধে রাখা যাবে।