ঠেকে শিখলে বিপদ

হাসপাতালে ছোটার আগে ইস্‌ বলে লাভ নেই। হঠাৎ অসুখে বিপুল টাকা গলে যাওয়ার পরে আক্ষেপও বৃথা। তাই স্বাস্থ্য বিমা কিনুন শুরুতেই যাচাই করে। গাড়ি, বাড়ি কেনায় এত খুঁটিনাটি পরখ করেন। তা হলে এখানে কুঁড়েমি কেন? সতর্ক করলেন আদিল শেট্টিতখন সব মিউচুয়াল ফান্ড অকালে ভাঙিয়ে ফেলা বা ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটগুলো তুলে নেওয়ার সময় শুধু হাত কামড়াতে হবে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৮ ০০:১৫
Share:

সারা জীবন ভুলের চৌকাঠে ঠোক্কর খেতে খেতে পোক্ত হয় অনেক বোধ। কিন্তু এমন ভুলও আছে, বুঝতে দেরি হলে যার দাম চোকাতে হতে পারে বড্ড বেশি। তাই সেগুলি ঠেকে শিখলে বিপদ। তেমনই একটি, স্বাস্থ্য বিমা না করা বা কোনও রকমে দায়সারা ভাবে একখানা প্রকল্প কিনে রাখা। অসুখ না হতেই বছর বছর প্রিমিয়াম গুনে যাওয়াকে অপচয় মনে করে এই বিমাকে সন্তর্পণে এড়িয়ে যান অনেকে। ভাবেন না, ক’দিন হাসপাতালে থাকতে হলেই কর্পূরের মতো উবে যাবে সঞ্চয়। তখন সব মিউচুয়াল ফান্ড অকালে ভাঙিয়ে ফেলা বা ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটগুলো তুলে নেওয়ার সময় শুধু হাত কামড়াতে হবে। সেই মুহূর্তে হয়তো বুঝতে পারবেন, স্বাস্থ্য বিমা স্রেফ চিকিৎসার খরচ জোগাড়ের ব্যবস্থা নয়, সঞ্চয়ের রক্ষাকবচও। কিন্তু তত দিনে বিস্তর দেরি হয়ে যাবে। তার চেয়ে সময় থাকতেই মোক্ষম শিক্ষাটা নিয়ে রাখি চলুন। দেখে নিই স্বাস্থ্য বিমা কেনার আগে কী কী মাথায় রেখে এগোলে তা হবে আপনার অন্যতম বড় শক্তি।

Advertisement

বিমা কিন্তু বিমাই

স্বাস্থ্য বিমার সঙ্গে সঞ্চয় বা লগ্নিকে গুলিয়ে ফেলেন অনেকে। তাতেই বাধে বিপদ। মাঠে মারা যায় বিমার উদ্দেশ্য। ফলে শুরুতেই জেনে রাখুন এ ব্যাপারে কী ভাববেন না। তা হলেই বোঝা যাবে, কোনটা ভাবা উচিত—

Advertisement

• স্বাস্থ্য বিমা লগ্নি নয়। ফলে নির্দিষ্ট মেয়াদের পরে আকর্ষণীয় রিটার্ন আশা করবেন না।

• কর-মরসুম বন্ধ হওয়ার সময় এগিয়ে এলেই তাড়াহুড়ো পড়ে যায় কোনও রকমে একটি প্রকল্প কেনার। কারণ এতে কর ছাড় মেলে। ফলে প্রয়োজন অনুযায়ী খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। অথচ বিমাকে কখনওই শুধু কর বাঁচানোর রাস্তা ভাবা ঠিক নয়। তা হলে সেটা নিজের ও পরিবারের বিপদ সামলানোর ঢাল হয়ে উঠবে না।

• চাকরি করলে অনেক সময় সংস্থা কর্পোরেট বিমা প্রকল্পের সুবিধা দেয়। সংস্থা যখন দিচ্ছে তখন নিজের পকেট থেকে খরচ করব না, এই ভাবনা ডোবাতে পারে। ভেবে দেখেছেন, ভবিষ্যতে চাকরি বদলালে কী হবে? ফের নতুন করে শুরু করতে হবে তো। যত বেশি বয়সে বিমা শুরু করবেন, প্রিমিয়াম হবে তত বেশি। তা ছাড়া, কর্পোরেট বিমায় আপনার বরাদ্দ নির্দিষ্ট। চিকিৎসার খরচ তার বেশি হলে বাড়তি গুনতে হবে নিজেকেই।

কাজে লাগে যেন

কোনও হিসেব-নিকেশ ছাড়া খুব কম টাকার স্বাস্থ্য বিমা করলে প্রয়োজনের সময় বিপদে পড়তে পারেন। কারণ, একে তো চিকিৎসার খরচ প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে। তার উপর জটিল রোগভোগ বা অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে তা আরও অনেক বেশি হয়। শুরুতেই এই কথাটা মাথায় রাখা জরুরি।

চাহিদা মেপে

কোন ধরনের প্রকল্প কিনবেন বা কত টাকার বিমা করবেন, তা নির্ভর করবে পুরো পরিবারের প্রয়োজনের উপরে। যেমন, শুধু নিজের জন্য হলে এক রকম। স্ত্রী/স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে ফ্লোটার প্রকল্প কিনলে আর এক রকম। আবার পরিবারে স্বামী/স্ত্রী, সন্তানের পাশাপাশি যদি বাবা-মায়ের মতো বয়স্ক মানুষ থাকেন, তা হলে পরিকল্পনা হবে অন্য রকম। কারণ—

• মা, বাবা সমেত সকলকে একটি ফ্লোটার স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের আওতাভুক্ত করতে চাইলে প্রিমিয়াম দিতে হবে অনেক বেশি। যেহেতু ফ্লোটারে সব থেকে বেশি বয়সের যে মানুষটি থাকেন, তাঁর উপর ভিত্তি করেই প্রিমিয়ামের অঙ্ক ঠিক হয়।

• তা ছাড়া, বয়স্কদের রোগে ভোগার আশঙ্কাও থাকে অনেক বেশি। সে ক্ষেত্রে বারবার বিমার টাকা দাবি করতে হতে পারে শুধু তাঁদের জন্যই। ফলে ওই বিমার আওতায় পরিবারের বাকি যাঁরা থাকবেন, তাঁদের চিকিৎসার খরচ চালানোর সুযোগ ক্রমশ ছোট হতে থাকবে।

• ফলে বিমার সুযোগ যদি সত্যিই কাজে লাগাতে হয়, তবে স্বামী/স্ত্রী, সন্তান ও নিজের জন্য একটি ফ্লোটার প্রকল্প ও বাবা-মায়ের জন্য আলাদা একটি প্রকল্প কিনলে সুবিধা হবে।

কোথায় কতটা বাদ

বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পে কিন্তু অনেক কিছু বাদও থাকে। তাই কোথায় কোনটা পাবেন না, সেটা জেনে রাখা দরকার। যাতে আগে থেকে তৈরি হয়ে থাকা যায়। ফলে প্রকল্প বাছার সময় মাথায় রাখতে হবে—

• সব ধরনের রোগ-আঘাত স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের আওতায় পড়ে না। যেমন, যুদ্ধজনিত আঘাত, এইচআইভি ইত্যাদি।

• অনেক প্রকল্পে সাব-লিমিট থাকে। যেখানে ডাক্তার, হাসপাতালের ঘর বা বেড ভাড়া, পরীক্ষা-নিরীক্ষার মতো বিভিন্ন খাতে কিংবা নানা রকম রোগের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বরাদ্দ থাকে। যেমন ধরুন, কিডনির পাথর অপারেশন করে বার করতে হয়তো ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এই ধরনের রোগের জন্য আপনার পলিসিতে সর্বোচ্চ ৪০,০০০ টাকার সাব-লিমিট। অর্থাৎ সে ক্ষেত্রে বাকি ৬০,০০০ বিমা থেকে পাবেন না। নিজের পকেট থেকেই দিতে হবে।

এই সব ক্ষেত্রে কোথায় কত বেশি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে, তা বিচার করার জন্য তুলনা করতে হবে বিভিন্ন সংস্থার বাজারে চালু প্রকল্পগুলির মধ্যে।

নগদহীনের সুবিধা

স্বাস্থ্য বিমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নগদহীন চিকিৎসার (ক্যাশলেস) সুযোগ। গ্রাহককে এই সুবিধা দিতে প্রতিটি বিমা সংস্থারই বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে গাঁটছড়া থাকে। যে সংস্থার প্রকল্প কিনবেন, তার সঙ্গে জোট বাঁধা হাসপাতালগুলি থেকে চিকিৎসা শেষে ছাড়া পাওয়ার সময় রোগীকে কোনও টাকা মেটাতে হয় না। সে ক্ষেত্রে বিল সরাসরি মিটিয়ে দেবে সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থাটিই। আপনাকে শুধু রোগ, চিকিৎসা, হাসাপাতালে ভর্তি ইত্যাদির নথি জমা দিতে হবে। কাজেই পলিসি কেনার আগে দেখে নেওয়া জরুরি, সংস্থার হাসপাতালের তালিকায় আপনার পছন্দেরটি আছে কি না।

পুরনো রোগের জের

হতে পারে পলিসি করানোর আগেই আপনার দু’তিনটি রোগ মাথাচাড়া দিয়েছে। যাকে বিমার পরিভাষায় বলে প্রি-এগজিস্টিং ডিজিজ। বিমার টাকা পাওয়া নিয়ে যে সব সমস্যা হয়, তার একটা বড় অংশ এই পুরনো রোগ-ভোগ ঘিরেই। কারণ—

• পলিসি কেনার আগে থেকে জাঁকিয়ে বসা কিছু কিছু রোগ বিমার আওতায় না-ও আসতে পারে। এটা নির্ভর করবে প্রকল্পের উপরে। সে ক্ষেত্রে কেউ যদি ওই সব রোগ গোপন করে বিমা করেন, তা হলে পরে চিকিৎসা খরচের দাবি আটকে যেতে পারে। কারণ সেগুলির ক্ষেত্রে বিমা সংস্থা দাবি মেটাতে বাধ্য নয়। ফলে টাকা জলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

• কিছু কিছু রোগ আবার পলিসি কেনার দুই থেকে চার বছরের মধ্যে বিমার সুবিধা পায় না।

• কী ধরনের প্রকল্প, কাদের জন্য কেনা হচ্ছে, কত বয়সে বা কত দিনের জন্য, এই সব শর্ত জড়িয়ে থাকে পুরনো রোগ সংক্রান্ত বিধির ক্ষেত্রে।

সুতরাং বিমা কেনার পরে সংস্থা কোনও চিকিৎসার টাকা দেবে না বলে বেঁকে বসলে, অথৈ জলে পড়তে পারেন আপনি। এই পরিস্থিতি এড়াতে, সংশ্লিষ্ট নথিতে পড়ে নিন প্রি-এগজিস্টিং ডিজিজের পুরো শর্ত।

কষ্টের অপেক্ষা

প্রকল্প চালুর পরে অপেক্ষা করতে হয় কিছু দিন। সেই সময়ে প্রয়োজন পড়লেও চিকিৎসা খরচের টাকা দেওয়ার কথা নয় বিমা সংস্থার। এটি ওয়েটিং বা কুলিং পিরিয়ড। পলিসি কেনার পরে সাধারণত ৩০ দিন হয় তার মেয়াদ। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম আলাদা হতে পারে। যেমন, কয়েকটি প্রকল্পে মাতৃত্বকালীন সুবিধে পেতে অপেক্ষা করতে হয় ৪ বছর।

তবে এই অপেক্ষার সময়ে প্রথম বার কোনও রোগ ধরা পড়লে, তা কিন্তু বিমা শুরুর আগের রোগ (প্রি এগজিস্টিং ডিজিজ) বলে গণ্য হবে না।

যে পলিসির ওয়েটিং পিরিয়ড যত কম, তা তত আকর্ষণীয়। পলিসি কেনার আগে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। ক্ষতিপূরণ দাবির জন্য অপেক্ষার সময় কম হলে নিজের পকেট থেকে খরচের ঝুঁকি কমে।

আগে-পরের খরচ

হাসপাতালে ভর্তি হলে যে খরচ গুনতে হবে, তার ব্যবস্থা না হয় হল। কিন্তু ভর্তির আগে-পরে জলের মতো যে টাকা বেরিয়ে যায়, তার কী হবে? এর পরিমাণও খুব কম নয়। স্বাস্থ্য বিমা সেই টাকা দেয় কি? খুব বড় প্রশ্ন এটা। প্রকল্প কেনার আগে যার উত্তর পাওয়া খুব জরুরি।

যেমন, যিনি ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তিনি আগে এক দফা খরচ করেছেন ডাক্তার দেখানো, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পেছনে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও রয়েছে ডাক্তার দেখানো ও এক দিনের মধ্যে হয়, এমন কিছু চিকিৎসার খরচ (ডে-কেয়ার)। আগে-পরের খরচের মধ্যে ধরা হয় এগুলিই। হাসপাতালে ভর্তির আগে ও ছাড়া পাওয়ার পরে কত দিন পর্যন্ত সেই খরচ দাবি করা যাবে, তা বিভিন্ন বিমা সংস্থার ক্ষেত্রে আলাদা হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ওই মেয়াদ যথাক্রমে ৩০ ও ৬০ দিন।

সে জন্য শুরুতেই বিশদে জেনে নেওয়া ভাল, চিকিৎসার সমস্ত খরচ-খরচা বিমা থেকে পাবেন কি না।

বোনাস কই?

পলিসির মেয়াদের মধ্যে বিমাকারী কোনও দাবি না জানালে স্বাস্থ্য বিমা সংস্থাগুলি বোনাস দেয়। বোনাস দু’ভাবে দেওয়া হতে পারে। বিমামূল্য (সাম ইনশিওর্ড) কিছুটা বাড়িয়ে। অথবা বিমা রিনিউ (নবীকরণ) করার সময় প্রিমিয়ামে ছাড় দিয়ে। পলিসি কেনার আগে বিভিন্ন সংস্থার এই ধরনের সুযোগ-সুবিধাগুলির মধ্যে তুলনা করে দেখা উচিত। যাতে সব থেকে বেশি লাভবান হন আপনি।

চোখ-কান খুলে

দেখলেন, বুঝলেন, বাছলেন এবং কিনলেন। মনে করবেন না সব দায়িত্ব শেষ। নিশ্চিন্ত হতে এ বারের কাজ—

• পলিসির নথি হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খুব সতর্ক ভাবে পুরোটা পড়া।

• বিমাকারী সম্পর্কে কোনও তথ্য ভুল আছে কি না মেলানো।

• সুবিধার সমস্ত প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট লেখা আছে কি না।

• যদি কোথাও কোনও ভুল থাকে, সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করার ব্যবস্থা করা।

মনে রাখবেন, পলিসির নথিপত্র দেখার পরে, কেনার ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তা ফিরিয়ে দেওয়া যাবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পলিসি কেনার সিদ্ধান্ত বাতিল করে তা ফিরিয়ে দিলে, প্রাথমিক ভাবে আপনার দেওয়া টাকা সংস্থাও ফেরাতে বাধ্য।

প্রকল্প কেনার পরে নথি হাতে পাওয়া ও তা খুঁটিয়ে দেখে রেখে দেওয়া কিংবা ফেরতের সিদ্ধান্তের এই সময়টি ‘ফ্রি-লুক’ পিরিয়ড। বিমা নেটে কিনলে এর মেয়াদ ১৫ দিন।

লেখক ব্যাঙ্কবাজার ডট কমের সিইও

(মতামত ব্যক্তিগত)

পাঠকের প্রশ্ন?

প্রঃ ছোট উৎপাদন কারখানা আছে। সংস্থা কাঁচামাল সরবরাহ করে আর আমি মূল পণ্য তৈরির কাজ করি। অর্থাৎ আমার কর্মীরা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে চূড়ান্ত পণ্য তৈরি করেন। তার পরে ওই সংস্থার কাছেই তা সরবরাহ করি। যখন আমি সংস্থার কাছে বিল পাঠাব, তখন তাতে কত হারে জিএসটি ধরব?

সুপ্রিয় পাল, কলকাতা

উৎপাদনের পরিষেবা দেওয়ার খাতে আয়-সহ বছরে ব্যবসা কত? তা ২০ লক্ষ টাকা পেরোলে জিএসটিতে নথিভুক্ত হতে হবে আপনাকে। এবং নির্দিষ্ট হারে জিএসটি ধরতে হবে। এটা পরিষেবা দেওয়ার জন্য কর হিসেব গণ্য হবে। যখন মূল সংস্থাকে পণ্য পাঠাবেন, তখনই তার বিল পাঠাবেন। করের হার নির্ভর করবে কী ধরনের পণ্য সরবরাহ করছেন তার উপর।

প্রঃ কোনও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান যদি সেমিনার আয়োজন করে ও সেখানে অংশ নেওয়ার জন্য ফি দেয়, তবে জিএসটি কার্যকর হবে কি? অর্থাৎ সেমিনারটিতে যাঁরা অংশ নিলেন তাঁদের জিএসটি দিতে হবে?

বি মুখোপাধ্যায়, অরুণাচল প্রদেশ

এর উত্তর নির্ভর করবে প্রতিষ্ঠানটি কী ধরনের, তার উপর। আয়কর আইনের ১০এএ ধারায় দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে নথিভুক্ত হলে এই জিএসটি লাগবে না। কিন্তু মুনাফার জন্য ব্যবসা করাই সংস্থার লক্ষ্য হলে কর বসবে।

পরামর্শদাতা:
তিমির বরণ চট্টোপাধ্যায়

পরামর্শের জন্য লিখুন:

‘বিষয়’, ব্যবসা বিভাগ,

আনন্দবাজার পত্রিকা,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা, পিন-৭০০০০১।

ই-মেল: bishoy@abp.in

ঠিকানা ও ফোন নম্বর জানাতে ভুলবেন না

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন