হদিস চিনি কেলেঙ্কারির

প্রতারণায় অভিযুক্ত সিম্ভাওলি সুগারস

মামলা হয়েছে সিইও জিএসসি রাও, সিএফও সঞ্জয় তাপরিয়া, এগ্‌জিকিউটিভ ডিরেক্টর গুরসিমরন কউর মান-সহ ৫ নন এগ্‌জিকিউটিভ ডিরেক্টরের বিরুদ্ধেও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:২৪
Share:

ঋণ ফাঁকি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে চিনি সংস্থা সিম্ভাওলি সুগারস, সংস্থার চেয়ারম্যান গুরমিত সিংহ মান, ডেপুটি এমডি গুরপাল সিংহ-সহ বেশ কয়েক জন কর্তার বিরুদ্ধে মামলা করল সিবিআই। অভিযোগ, ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্সের (ওবিসি) ৯৭.৮৫ কোটি টাকার ঋণ ফাঁকি দিয়ে জালিয়াতি করেছে সংস্থা।

Advertisement

মামলা হয়েছে সিইও জিএসসি রাও, সিএফও সঞ্জয় তাপরিয়া, এগ্‌জিকিউটিভ ডিরেক্টর গুরসিমরন কউর মান-সহ ৫ নন এগ্‌জিকিউটিভ ডিরেক্টরের বিরুদ্ধেও। রবিবার দিল্লি, হাপুর ও নয়ডায় কারখানা, অফিস, ডিরেক্টরদের বাড়ি-সহ আট জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। উল্লেখ্য, সিম্ভাওলি-কর্তা গুরপাল পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের জামাই।

সিবিআইয়ের এফআইআরে অভিযোগ, ২০১১ সালে ৫,৭৬২ জন আখ চাষিকে দাম মেটাতে সংস্থাকে ১৪৮.৬০ কোটি টাকা ঋণ দেয় ওবিসি। কথা ছিল, ২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত চাষিরা সংস্থাকে আখ সরবরাহ করবেন। কিন্তু কৃষকদের টাকা না দিয়ে, সংস্থা নিজের কাজে তা ব্যবহার করে। ২০১৫ সালে ঋণ অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়। এর মধ্যে ৯৭.৮৫ কোটি জালিয়াতির কথা রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে জানায় ওবিসি। কিন্তু তার মাঝেই আগের ধার শোধের জন্য সংস্থাকে আরও ১১০ কোটি ঋণ দেওয়া হয় বলে ব্যাঙ্কের অভিযোগ। যা ২০১৬ সালে নোট বাতিলের ২০ দিন পরে অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়।

Advertisement

তবে সিবিআই তদন্ত শুরু হলেও, দেরি করায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্নের মুখে তারা। কারণ, ওবিসি গত বছর ১৭ নভেম্বরে অভিযোগ জানায়। কিন্তু, সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে ২২ ফেব্রুয়ারি, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement