দুই হিসেবে চিন্তা বাড়ল কেন্দ্রের

শিল্পোৎপাদনের হার যদিও জুনের ১.২ শতাংশের তুলনায় বেশি। তবে বণিকসভা আইসিসি-র প্রেসিডেন্ট ময়াঙ্ক জালানের দাবি, চাহিদার অভাবে দেশ জুড়ে উৎপাদন যে ভাবে ধাক্কা খাচ্ছে, তাতে সঙ্কট যুঝতে এখনই কেন্দ্রের আর্থিক ত্রাণ ছাড়া পথ নেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:০৫
Share:

নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।

ফের অর্থনীতির নাড়ির গতি বাড়াল সরকারি পরিসংখ্যান। তাও আবার একসঙ্গে দু’টি। একটি জানাল, গত জুলাইয়ে শিল্প বৃদ্ধি তার আগের বছরের একই সময়ের (৬.৫%) তুলনায় কমে হয়েছে ৪.৩%। অন্য একটিতে প্রকাশ, গত অগস্টে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ১০ মাসে সবচেয়ে বেশি, ৩.২১%।

Advertisement

শিল্পোৎপাদনের হার যদিও জুনের ১.২ শতাংশের তুলনায় বেশি। তবে বণিকসভা আইসিসি-র প্রেসিডেন্ট ময়াঙ্ক জালানের দাবি, চাহিদার অভাবে দেশ জুড়ে উৎপাদন যে ভাবে ধাক্কা খাচ্ছে, তাতে সঙ্কট যুঝতে এখনই কেন্দ্রের আর্থিক ত্রাণ ছাড়া পথ নেই। তুলনায় মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ একটু কম শিল্পের। কারণ, মূলত মাছ, আনাজ, ডালের মতো খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় ওই হার চড়লেও, এই নিয়ে ১৩ মাস ধরে তা এখনও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ সীমার (৪%) নীচে।

হিসেব বলছে, শিল্প বৃদ্ধি চোট খাওয়ার অন্যতম কারণ কর্মসংস্থানের বড় উৎস, কল-কারখানার উৎপাদন আগের বছরের জুলাইয়ের ৭% থেকে এ বার ৪.২ শতাংশে পিছলে যাওয়া। সেই সঙ্গে সরাসরি কমে যাওয়া মূলধনী পণ্যের উৎপাদন। দেশে লগ্নি ঢোকার অন্যতম মাপকাঠি যেটি। চাহিদার সমস্যা আরও প্রকট করে সরাসরি কমেছে দীর্ঘ মেয়াদি ভোগ্যপণ্যের উৎপাদনও। এপ্রিল-জুলাই, এই চার মাসের হারও আগের বছরের থেকে কমে হয়েছে ৩.৩%।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন