প্রতীকী ছবি।
চলতি আর্থিক বছরে বিলগ্নিকরণ থেকে মোট ৮০ হাজার কোটি টাকা রাজকোষে আনার লক্ষ্য বেঁধেছিল কেন্দ্র। কিন্তু বেচতে চেয়েও এয়ার ইন্ডিয়ার ক্রেতা না পাওয়া-সহ বিভিন্ন কারণে সেই লক্ষ্য এখনও দূরের গ্রহ। কিন্তু তারই মধ্যে ভারত-২২ ইটিএফের দৌলতে অন্তত ৫০ হাজার কোটির গণ্ডি পেরিয়ে গেল কেন্দ্র। গত সপ্তাহে ওই খাতে ১০ হাজার কোটি টাকা ঘরে তুলেছে সরকার। আরও ৫,৩৭৯ কোটি এসেছে এসইউইউটিআইয়ের মাধ্যমে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কে ৩% সরকারি শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে।
ইটিএফের পুরো নাম এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড। যা খানিকটা মিউচুয়াল ফান্ডের মতো। এর ইউনিট শেয়ারের মতোই কেনাবেচা হয় স্টক এক্সচেঞ্জে। লগ্নির অঙ্কের ভিত্তিতে ইটিএফের ইউনিট পান বিনিয়োগকারী। প্রথম বার বাজারে ইটিএফ ছাড়ার সময়ে ওই ইউনিট কেনা যায়। পরেও তা লেনদেন হতে থাকে বাজারে।
মূলত বিলগ্নিকরণের লক্ষ্য পূরণ করতেই ২০১৭ সালে ভারত-২২ ইটিএফ বাজারে এনেছিল কেন্দ্র। যার মাধ্যমে ১৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত এবং ৩টি বেসরকারি সংস্থায় নিজেদের শেয়ার বিক্রি করতে পারে তারা। ১০ হাজার কোটি এসেছে এই ইটিএফ থেকেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে গতবার রীতিমতো খাবি খেতে হয়েছিল মোদী সরকারকে। এ বারও ইটিএফের পাশাপাশি তাদের মান কিছুটা বাঁচিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েলের নিজেদেরই ২,৬৪৭ কোটি টাকার শেয়ার কিনে নেওয়া। নিজেদের ৯৯০ কোটির শেয়ার কিনেছে এনএলসিও। ৮০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্য ছুঁতেই যেখানে এমন নাভিশ্বাস দশা, সেখানে আগামী বার ৯০ হাজার কোটির লক্ষ্য কোন ভরসায় বাঁধা হল এবং কী ভাবেই বা তা পূরণ হতে পারে, তার দিকে চোখ থাকবে অনেকের।