Gardenreach Shipbuilders and Engineers

গার্ডেনরিচের ১০% বিক্রি এই অর্থবর্ষেই

১৯৩৪ সালে কলকাতায় তৈরি গার্ডেনরিচ সংস্থাটি ১৯৬০ সালে ম্যাকনেল অ্যান্ড ব্যারি-র থেকে কিনে নেয় কেন্দ্র। জাতীয়করণের পরেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিসেবে গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স ১৯৬১ সালে প্রথম দেশীয় যুদ্ধজাহাজ তৈরি করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:১২
Share:

—ফাইল চিত্র।

কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সে সরকারের হাতে থাকা অংশীদারির ১০% চলতি অর্থবর্ষেই বেচে দেওয়া হবে।

Advertisement

সোমবারই কলকাতায় গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সের তৈরি যুদ্ধজাহাজ উদ্বোধনে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়ত দেশের শত্রুদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যে সংস্থার কাজ নৌসেনা ও উপকূল রক্ষী বাহিনীর জন্য যুদ্ধজাহাজ ও অন্যান্য জলযান তৈরি করা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রশাসনিক আওতায় থাকা গার্ডেনরিচের ৭৪.৫% মালিকানা এখন সরকারের ঝুলিতে। বর্তমান বাজারদরে তার ১০% বেচে কেন্দ্রের ঘরে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা আসবে বলে আশা অর্থ মন্ত্রকের। মন্ত্রকের কর্তাদের ধারণা, মার্চের মধ্যে এই যুদ্ধজাহাজ নির্মাণকারী সংস্থাটির বিলগ্নিকরণ করা সম্ভব হবে।

১৯৩৪ সালে কলকাতায় তৈরি গার্ডেনরিচ সংস্থাটি ১৯৬০ সালে ম্যাকনেল অ্যান্ড ব্যারি-র থেকে কিনে নেয় কেন্দ্র। জাতীয়করণের পরেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিসেবে গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স ১৯৬১ সালে প্রথম দেশীয় যুদ্ধজাহাজ তৈরি করে। যার নাম ছিল আইএনএস অজয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রাতরাশে ১৫০ কলা, সাড়ে ৪ কেজি মিষ্টি থেকে সামান্য বিষ! তাক লাগিয়ে দেয় এই সুলতানের আহার

২০১৮-১৯ সালে মোদী সরকারের প্রথম দফায় শুরু হয় গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সের বিলগ্নিকরণ। ওই বছর ২৫.৫% মালিকানা বেচেছিল কেন্দ্র। মন্ত্রকের কর্তারা মনে করছেন, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে এখন সরাসরি ৭৪% পর্যন্ত বিদেশি লগ্নির দরজা খোলা হয়েছে। ফলে গার্ডেনরিচ বিলগ্নিকরণে সুবিধা হবে। সংস্থাটি বিদেশ থেকেও বরাত পেয়ে আসছে। আগেই এলারা ক্যাপিটালস ও ইয়েস সিকিউরিটিজকে অর্থ মন্ত্রক এই বিলগ্নিকরণের জন্য নিযুক্ত করেছিল। সংস্থা দু’টি মার্চেন্ট ব্যাঙ্কার ও ব্রোকার হিসেবে কাজ করবে।

আরও পড়ুন: পূর্ব ভারতের স্থাপত্য শিক্ষায় নয়া দিগন্তের হদিশ দিচ্ছে এসএনইউ

চলতি অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণ থেকে ২.১ লক্ষ কোটি টাকা ঘরে তোলার লক্ষ্য নিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু করোনা ও লকডাউনের জেরে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬৩০০ কোটি টাকা ঘরে এসেছে। হ্যাল, ভারত ডায়নামিক্স, মাজগাঁও ডক ছাড়া আর কোনও বিলগ্নিকরণ সম্ভব হয়নি। আইসিআরটিসি, রেল বিকাশ নিগম, ইরকন-এর বিলগ্নি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা মনে করছেন, এ বছরে এয়ার ইন্ডিয়া বা ভারত পেট্রোলিয়ামের বিলগ্নিকরণ সম্ভব না-হলে কোনও ভাবেই ২.১ লক্ষ কোটি টাকার লক্ষ্য ছোঁয়া সম্ভব নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement