নরেন্দ্র মোদী
ভোটের আগে প্রবল চাপের মুখে পড়ে সম্ভবত এ বার বিতর্কিত ব্যাঙ্ক (এফআরডিআই) বিল নিয়েও পিছু হটতে চলেছে মোদী সরকার। আমজনতা ক্ষুব্ধ। বিরোধীরা খড়্গহস্ত। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত বিলটি প্রত্যাহারের কথাই ভাবছে তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, ৩০ জুলাই এই নিয়ে গঠিত সংসদের যৌথ কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। তার আগেই সংসদে সরকার নিজের মত জানিয়ে দিতে পারে।
ফিনান্সিয়াল রিজলিউশন অ্যান্ড ডিপোজিট ইনশিওরেন্স (এফআরডিআই) বিল যখন গত বছর আনা হয়, তখন থেকেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। বিলের প্রস্তাবে ছিল, কোনও ব্যাঙ্ক দেউলিয়া ঘোষণার মুখে দাঁড়ালে, সেখানে গ্রাহকের অনুমতি ছাড়াই তাঁর আমানতের টাকা বাড়তি সময় আটকে রাখা যেতে পারে। প্রয়োজনে তা বদলে দেওয়া যেতে পারে শেয়ার, বন্ড ইত্যাদিতে। সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের টাকা আর ব্যাঙ্কে নিরাপদ থাকবে না বলে বিরোধীরা প্রবল চাপ তৈরি করে।
সূত্রের খবর, খোদ নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই নিয়ে আলোচনা করে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটুকু বাকি। সরকার নিজেদের সিদ্ধান্ত জানালে সংসদের কমিটির পক্ষেও আর নতুন করে রিপোর্ট দেওয়ার কিছু থাকবে না।
অথচ মোদী গত বছর বলেছিলেন, বিলটি নিয়ে অহেতুক বিতর্ক বাধানো হচ্ছে। ব্যাঙ্কে মানুষের টাকা নিরাপদ রাখতে কেন্দ্র দায়বদ্ধ। অরুণ জেটলিও খসড়া বিলের পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন। এক বিরোধী সাংসদের মতে, ‘‘ভোটের মুখে এখন স্যানিটারি ন্যাপকিনে জিএসটি থেকে শুরু করে এয়ার ইন্ডিয়া বিলগ্নিকরণ— সবেই পিছু হটছে কেন্দ্র।’’