প্রতীকী ছবি।
শুল্ক-যুদ্ধের চাপ তাদের উপর স্পষ্ট। তাই বুধবার আমেরিকার নাম না করলেও বাণিজ্যে রক্ষণশীলতার সমস্যাকেই ফের নিশানা করলেন কলকাতায় চিনের কনসাল জেনারেল মা ঝানউ। বার্তা দিলেন ভারতের হাত ধরার। জানালেন, বাণিজ্যে দেওয়াল তোলা আটকাতে ভারত-চিন জোট কতখানি জরুরি। ঠিক যে ভাবে হালে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের ইঙ্গিত দিচ্ছে ভারতও। চাইছে বন্ধুত্ব পোক্ত করতে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সে কারণেই বেজিং সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে বাণিজ্যে পাঁচিল তোলার বিরুদ্ধে সরব হওয়ার কথা বলেছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও।
বুধবার মার্চেন্টস চেম্বারের অনুষ্ঠানে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে বারবার জোর দেন ঝানউ। দাবি করেন, বিশ্বের জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশের ঠিকানা যে দু’দেশ, তারা একসঙ্গে কাজ করে বদলাতে পারে অনেক ছবি। বাণিজ্যে রক্ষণশীলতা থেকে শুরু করে উষ্ণায়ন, সবই। ডোকালামের দ্বন্দ্ব সরিয়ে ভবিষ্যতে দু’দেশ আরও কাছে আসবে বলেও আশাবাদী তিনি।
নরম দু’দেশই: শুল্কের হাতিয়ারে পরস্পরকে বিঁধতে কসুর করছে না আমেরিকা ও চিন। সংবাদ সংস্থার খবর, এই অবস্থায় তারই মধ্যে দু’দেশই সুর কিছুটা নরম করল বুধবার। চিন জানাল, আমদানি হওয়া গাড়িতে শুল্ক ছাঁটছে তারা। স্বাগত জানাল, মার্কিন অর্থ সচিব স্টিভেন মনুচিনের আসন্ন বেজিং সফরকেও। অন্য দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, বাণিজ্যে দর কষাকষির লক্ষ্যেই চিন যাচ্ছেন মনুচিন।