এ বার শিল্পমহল থেকেও দাবি উঠল, কৃষি থেকে আয়ের উপর কর বসানো হোক।
প্রথমে নীতি আয়োগের সদস্য বিবেক দেবরায় যুক্তি দিয়েছিলেন, ধনী চাষিদের আয়ের উপর কর বসানো হোক। অরুণ জেটলি অবশ্য বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, কৃষি থেকে আয়ের উপর কর বসানোর কোনও পরিকল্পনা মোদী সরকারের নেই। কিন্তু তার পরেও মোদী সরকারের অন্দরমহল থেকে ফের সেই দাবি উঠেছে। মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যনের যুক্তি, গরিব ও ধনী চাষির মধ্যে ফারাক থাকা দরকার। চাষি ধনী হলে তাঁকেও আয়কর মেটাতে হবে।
সরকারের অন্দরমহলে যখন এই বিতর্ক অব্যাহত, তখন আজ একই দাবি তুলল শিল্পমহল। বণিকসভা সিআইআই-এর নতুন প্রেসিডেন্ট শোভনা কামিনেনি যুক্তি দিয়েছেন, কৃষি-আয়ে কর বসানো দরকার। কেউ কৃষক, গ্রামে জমি রয়েছে বলেই তাঁর যাবতীয় আয়ে কোনও কর বসবে না, এমন যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষত চাষের বাইরে যে আয় হচ্ছে, সেখানে অন্যদের মতোই আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা মেনে কর আদায় করা দরকার। এ বিষয়ে সওয়াল করতে সিআইআই একটি টাস্কফোর্সও তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন শোভনা।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের অন্দরমহলের খবর, সরকারও চাইছে এ বিষয়ে বিতর্ক চলুক। বিশেষত গ্রামে কৃষি জমির মালিকানা দেখিয়ে অনেকেই নিজেদের চাষি বলে দাবি করে সমস্ত আয়কর ছাড় পেয়ে যান। শিল্পমহলের মতো সরকারও মনে করছে, দেশে আয়করদাতার সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।
শোভনার মতে, এ বছর বর্ষা স্বাভাবিক হলে, কৃষিতে বৃদ্ধির হার ৪ শতাংশে পৌঁছবে। সার্বিক ভাবে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৫ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে পৌঁছে যাবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে আর্থিক বৃদ্ধির হার ১০% ছোঁবে বলে সিআইআই-এর প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট মনে করছেন। তবে তার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদের হার ও কোম্পানি করের হার
আরও কমানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন শোভনা।
অ্যাপোলো হসপিটালস এন্টারপ্রাইজের এগ্জিকিউটিভ ভাইস চেয়ারপার্সন শোভনা বলেন, ‘‘এখন ৫০ কোটি টাকার কম ব্যবসা হলে কোম্পানি করের হার ৩০% থেকে কমিয়ে ২৫% করা হয়েছে। সব শিল্পের জন্যই করের হার কমাতে হবে। আরও সাহসী হয়ে করের হার ১৮ শতাংশে নামিয়ে আনা দরকার। আমার বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী মোদী এই ধরনের সিদ্ধান্তই নেবেন।’’