3G

টুইটার সংযোগেও বিঁধল সেই ৪জি-প্রশ্ন

তিনি এলেন। কথা বললেন। এবং প্রত্যাশিত ভাবেই বিদ্ধ হলেন ৪জি সংক্রান্ত প্রশ্ন-বাণে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:২৫
Share:

তিনি এলেন। কথা বললেন। এবং প্রত্যাশিত ভাবেই বিদ্ধ হলেন ৪জি সংক্রান্ত প্রশ্ন-বাণে। মঙ্গলবার বিকেলে গ্রাহকের অভাব-অভিযোগ শুনতে বসা বিএসএনএলের সিএমডি অনুপম শ্রীবাস্তবের টুইটারের পর্দায় তখন কারও প্রশ্ন, অন্যদের ৪জি পরিষেবা পুরনো হয়েছে, অথচ তাঁরা তা আনতেই পারলেন না কেন? কারও অবাক জিজ্ঞাসা, তা হলে ৪জি এড়িয়ে সংস্থার লাফ কি সোজা ৫জি-তে? শ্রীবাস্তবের জবাব অবশ্য সেই পুরনোই, শীঘ্র চালু হবে পরিষেবা। স্পেকট্রাম হাতে এলেই।

Advertisement

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ধাঁচে সরাসরি গ্রাহকের মনের আঁচ পেতে অন্যান্য রাজ্যে খোদ সিএমডির টুইটার বৈঠক হয়েছে আগেই। মঙ্গলবার পালা ছিল কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের। আর সেখানেই কথাবার্তার ছত্রে ছত্রে উঠে এল ৪জি নিয়ে অভিযোগ। কখনও বা কটাক্ষ, এখনকার মতো কম সংখ্যক টাওয়ার দিয়ে কি ওই পরিষেবা আদৌ দেওয়া যাবে? পরে ক্যালকাটা টেলিফোন্সের সিজিএম এস পি ত্রিপাঠী মেনে নেন, আসলে ৪জি-ই এখন চর্চার অন্যতম বিষয়। আর সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, অন্যান্য সংস্থা যেখানে ৫জি নিয়ে ভাবছে, সেখানে কেউ ৪জি পর্যন্ত পৌঁছতে না পারলে সমালোচনা তো হবেই।

অথচ এ দিনও শ্রীবাস্তবের দাবি, তাঁরা কেন্দ্রের থেকে ৪জি স্পেকট্রাম পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। তা পেলে পরিষেবা চালু হবে। যদিও বছরের শুরুতে টেলিকমমন্ত্রী মনোজ সিংহ সেই স্পেকট্রাম বরাদ্দের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তা মেলেনি। টুইট-কথায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটিকে সাহায্য না করার অভিযোগও তুলেছেন এক গ্রাহক।

Advertisement

সংস্থা সূত্রে খবর, এক ঘণ্টার বৈঠকে গ্রাহকের ১৭৮টি টুইটে নালিশ আরও ছিল। যেমন কলকাতা-সহ বহু জায়গায় ৩জি, ২জি পরিষেবার খারাপ মান। বিল ও কর্মীদের থেকে সঠিক তথ্য না পাওয়া। আবেদন করেও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা না মেলা। সিএমডি রাজ্যে সংস্থার দুই সিজিএম-কে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন