ত্রস্ত অর্থনীতি, বৈঠকে মোদী

অচ্ছে দিনের স্বপ্ন ফেরি করে কুর্সিতে বসা নরেন্দ্র মোদীর জমানাতেই গোল্লায় গিয়েছে অর্থনীতি। শনিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে ‘ভারত বাঁচাও’ জনসভায় অভিযোগের এই তিরে ‘মোদী-অমিত শাহ জুটির সরকারকে’ বিঁধল কংগ্রেস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:১২
Share:

বিরোধীদের আক্রমণে বিদ্ধ মোদী সরকার। —ফাইল চিত্র

অচ্ছে দিনের স্বপ্ন ফেরি করে কুর্সিতে বসা নরেন্দ্র মোদীর জমানাতেই গোল্লায় গিয়েছে অর্থনীতি। শনিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে ‘ভারত বাঁচাও’ জনসভায় অভিযোগের এই তিরে ‘মোদী-অমিত শাহ জুটির সরকারকে’ বিঁধল কংগ্রেস। বক্তব্য, বিভাজনের রাজনীতিতে কেন্দ্র নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে ঠিকই। কিন্তু সত্যিটা হল, অর্থনীতি বিপর্যস্ত। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় ২১ ডিসেম্বর থেকে টানা তিন শনিবার সমস্ত মন্ত্রীর গত ছ’মাসের কাজের খতিয়ান নেবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী এক বছরের পরিকল্পনাও তুলে ধরতে হবে প্রত্যেক মন্ত্রককে। তবে অর্থনীতির ‘স্বাস্থ্য’ নিয়েই প্রশ্ন উঠছে সবচেয়ে বেশি। অভিযোগ উঠছে তার মেরামতিতে কেন্দ্রকে দিশাহীন দেখানো নিয়ে। তাই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অর্থনীতি চাঙ্গা করার জোরালো দাওয়াই পেশ করতে পারছেন কি না, নজর থাকছে মূলত সে দিকে।

Advertisement

এ দিন রাহুল গাঁধীর তোপ, ‘‘ইউপিএ সরকার পোক্ত অর্থনীতি দিয়ে গিয়েছিল। এখন আপনাদের হাতে রয়েছে দামি পেঁয়াজ।’’ সনিয়া গাঁধীর অভিযোগ, কেন্দ্রের লক্ষ্য আমজনতার মধ্যে লড়াই লাগানো। যাতে আসল বিষয় ধামাচাপা পড়ে। আর কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর কটাক্ষ, ‘‘পেল্লাই বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে... মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। ঠিকই। পেঁয়াজ ১০০ টাকা ছোঁয়া, রেকর্ড বেকারত্ব, বিমানবন্দর-রেল পরিষেবার বেলাগাম বেসরকারিকরণ তো তাঁর আমলেই সম্ভব।’’

বেহাল অর্থনীতি বিরোধীদের নিশানা ও কেন্দ্রের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠায় অনেকের চোখ এখন মোদীর সামনে নির্মলার ‘পরীক্ষাতে’। অর্থনীতির রোগ সারানোর ওষুধের খোঁজে ১ ফেব্রুয়ারির বাজেটের দিকেও তাকিয়ে অনেকে।

Advertisement

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের অবশ্য দাবি, অর্থনীতি নিয়ে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোদী ‘দিল্লি দখল’ করলেও, এখন স্পষ্ট, সেগুলি মিথ্যে। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের আশঙ্কা, কেন্দ্র যে রকম দিশেহারা, তাতে কর বাড়বে। হাল খারাপ হবে দরিদ্রদের। আরও ভেঙে পড়বে অর্থনীতি। সনিয়ার প্রশ্ন, মোদী-শাহ বলেন এটাই অচ্ছে দিন। কিন্তু দেশ জানতে চায়, অর্থনীতি নষ্ট হল কেন? রাহুলের কটাক্ষ, ‘‘ভারতের শত্রুরা চাইত তার প্রধান শক্তি (অর্থনীতি) শেষ হয়ে যাক। কিন্তু তারা পারেনি। একা হাতে তা করে দেখালেন মোদী!’’

নোটবন্দি ও তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর জোড়া ধাক্কাতেই অর্থনীতির করুণ দশা বলে দাবি তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন