Bunsiness News

টেলি সংস্থাকে শাস্তি নয় কেন, দায়ের মামলা

২৩ জানুয়ারি ছিল কেন্দ্রের প্রাপ্য, বকেয়া লাইসেন্স ফি এবং স্পেকট্রাম ব্যবহারের চার্জ মেটানোর শেষ দিন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২০ ১০:০০
Share:

এয়ারটেল, ভোডাফোন বা টাটা টেলি বকেয়া মেটাতে বাড়তি সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে আবেদন করেছে, তার শুনানি আগামী সপ্তাহে।

টেলিকম দফতরের (ডট) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে ক্রেতা সুরক্ষা সংগঠন সেভ কনজিউমার রাইটস ফাউন্ডেশন। তাদের অভিযোগ, লাইসেন্স ফি ও স্পেকট্রাম ব্যবহারের চার্জ সময়ে না-মেটালেও টেলিকম সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে না-করেছে কেন্দ্র। যা গত ২৪ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া বকেয়া মেটানোর নির্দেশের অবমাননা। আদালতে ডটের ২৩ জানুয়ারি জারি করা ডটের শাস্তি না-দেওয়ার নোটিস বাতিল করার আর্জি জানিয়েছে ওই সংগঠন। আবেদন করেছে, অবিলম্বে সংস্থাগুলির থেকে বকেয়া আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হোক সরকারকে। পাশাপাশি যারা তা মেটায়নি ব্যবস্থা নেওয়া হোক তাদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

২৩ জানুয়ারি ছিল কেন্দ্রের প্রাপ্য, বকেয়া লাইসেন্স ফি এবং স্পেকট্রাম ব্যবহারের চার্জ মেটানোর শেষ দিন। রায় অনুযায়ী টেলি সংস্থাগুলির ডটকে মেটানোর কথা ছিল ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা। ভোডাফোন-আইডিয়ার ৫৩,০০০ কোটিরও বেশি ও এয়ারটেলের প্রায় ৩৫,০০০ কোটি। দুই সংস্থাই বকেয়া মেটাতে বাড়তি সময় চেয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শুধু রিলায়্যান্স জিয়োই সে দিন ১৯৫ কোটি টাকা মিটিয়ে দিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এয়ারটেল এই খাতে অর্থের সংস্থান করলেও ভোডাফোনকে একলপ্তে ওই সময়ের মধ্যে টাকা মেটাতে জোর করা হলে সংস্থাকে হয়তো ঝাঁপই বন্ধ করতে হত। ভুগতে হত গ্রাহকদের। ভোডাফোনও বলেছিল, টাকা দিতে হলে ব্যবসা চালানো কঠিন হবে। তাই কেন্দ্রের ত্রাণ না-পেলে তা মেটাতে পারবে না। এই অবস্থায় টেলি শিল্প ও গ্রাহকদের স্বস্তি দিয়ে ডট জানায়, বকেয়া না-মেটালেও তারা আপাতত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে না কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে।

Advertisement

আর্জি কী কী

• ডটের ২৩ জানুয়ারির নির্দেশ বাতিল করা হোক। যেখানে বলা হয়েছিল, বকেয়া না-দিলেও টেলিকম সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না-নেওয়ার কথা।
• সুপ্রিম কোর্টের ২৪ অক্টোবরের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে সংস্থাগুলির থেকে বকেয়া আদায় করতে ডটকে নির্দেশ দেওয়া হোক।
• যে সব টেলি পরিষেবা সংস্থা শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মানেনি, তাদের বিরুদ্ধে করা হোক
আইনি পদক্ষেপ।

তবে আবেদনে সেভ কনজিউমার রাইটসের অভিযোগ, সংস্থাগুলি ইচ্ছাকৃত ভাবে বকেয়া সময়ে মেটানোর নির্দেশ মানেনি। তাদের দাবি, ওই টাকা না-মেটানোয় ক্ষতি হবে কেন্দ্রের। সরাসরি প্রভাব পড়বে মানুষের আর্থিক অধিকারে।

আরও পড়ুন: পুরা প্যাসা ওয়াসুল! ক্রেতাদের জন্য দুর্দান্ত অফার নিয়ে এল রিলায়্যান্স

বিশেষজ্ঞেরা অবশ্য বলছেন, এয়ারটেল, ভোডাফোন বা টাটা টেলি বকেয়া মেটাতে বাড়তি সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে আবেদন করেছে, তার শুনানি আগামী সপ্তাহে। তাই পরবর্তী নির্দেশ না জারি হওয়া পর্যন্ত টাকা মেটানো হবে না বলে তারা জানিয়েছিল আগেই। একাংশের এটাও প্রশ্ন, জোর জবরদস্তি বকেয়া আদায় করতে গিয়ে ভোডোফোন বন্ধ হলে অসুবিধায় তো পড়বেন গ্রাহকেরাই।

তবে সংগঠনটির দাবি, ‘‘সময়ে বকেয়া না-পেলে ডট তাদের হাতে থাকা সংস্থাগুলির ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ভাঙাতে পারত। পরে খেলাপি সংস্থার লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন