Coronavirus

উৎপাদনে আশার ইঙ্গিত, চিন্তা করোনাই

আইএইচএস মার্কিটের ইকনমিক্স অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর পলিয়েন্না দ্য লিমার মতে, চাহিদা বৃদ্ধি উৎপাদনে কিছুটা সদর্থক প্রভাব ফেলেছে ঠিকই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:৫৮
Share:

—প্রতীকী ছবি

লকডাউনে তলিয়ে যাওয়া উৎপাদন শিল্প মুখ তোলার চেষ্টা করছে গত কয়েক মাস ধরে। ডিসেম্বরেও সেই ধারা বজায় থাকার ইঙ্গিত দিল আইএইচএস মার্কিট ইন্ডিয়ার সমীক্ষা। জানাল, গত মাসে ম্যানুফ্যাকচারিং পার্চেসিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) দাঁড়িয়েছে ৫৬.৪। তবে নভেম্বরের ৫৬.৩-এর তুলনায় বৃদ্ধি সামান্য। উল্লেখ্য, ওই সূচক ৫০-এর বেশি হওয়া মানে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বৃদ্ধি। আর তা থেকে কমার অর্থ সঙ্কোচন।

Advertisement

আইএইচএস মার্কিটের ইকনমিক্স অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর পলিয়েন্না দ্য লিমার মতে, চাহিদা বৃদ্ধি উৎপাদনে কিছুটা সদর্থক প্রভাব ফেলেছে ঠিকই। তার সঙ্গেই সংস্থাগুলি আপৎকালের জন্যও এখনই পণ্য তৈরির পথে হাঁটছে। যা উৎপাদনকে ঠেলে তুলেছে। সেই সঙ্গে এতে ইন্ধন জুগিয়েছে বিদেশে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়াও।

তবে এর মধ্যেই দু’টি বিষয় নিয়ে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। প্রথমত, ব্রিটেন-সহ বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন স্ট্রেনের জেরে ফের বরাত ধাক্কা খেতে পারে। দ্বিতীয়ত, রাসায়নিক, ধাতু, প্লাস্টিক-সহ কাঁচামালের দাম দাঁড়িয়েছে ২৬ মাসে সর্বাধিক। ফলে তা সংস্থাগুলিকে চাপে ফেলতে পারে।

Advertisement

সেই সঙ্গে নানা বিধিনিষেধ মেনে কাজ করতে হওয়া, কর্মী পাওয়া নিয়ে এখনও সংস্থাগুলি সমস্যায় পড়ছে বলেও জানিয়েছে সমীক্ষা। তবে ছাঁটাইয়ের হার আগের মাসগুলির থেকে কমেছে। সব মিলিয়ে আগামী দিনে ভারতের উৎপাদন ক্ষেত্র নিয়ে আশার কথাই শোনা গিয়েছে। যদিও করোনার গতিপ্রকৃতির উপরে অনেক কিছুই নির্ভর করবে, দাবি মার্কিটের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন