Cakes

Palm Oil Crisis: পাম তেলের ধাক্কায় কি দাম বাড়বে বিস্কুট-সাবান-শ্যাম্পুরও? ক্রমেই বাড়ছে আশঙ্কা

কারণ সেখানে বিপুল তেল রাখার পরিকঠামো নেই। তা সত্ত্বেও রফতানি না খুললে ভারত কী ভাবে সঙ্কট এড়াবে, তা নিয়েই চলছে চর্চা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২২ ০৭:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

দুশ্চিন্তা শুধু আর ভোজ্য তেলেই আটকে রইল না। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ইন্দোনেশিয়ার পাম তেল রফতানি সত্যি বন্ধ হলে গৃহস্থের ওই খাতের খরচ তো বাড়াবেই, সেই সঙ্গে ঠেলে তুলতে পারে বিস্কুট, কেক, শ্যাম্পু, সাবান, নুড্‌লসের মতো নিত্য ব্যবহার্য বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজেটকেও। কারণ, সেগুলি তৈরির কাঁচামাল হিসেবে লাগে পাম তেল ও তার নির্যাস। ওই সব ভোগ্যপণ্যের একাংশের দাম আগেও বেড়েছে চড়া জ্বালানির জেরে পরিবহণ খরচ বাড়ায়। তবে ইন্দোনেশিয়ার কৃষি মন্ত্রক সোমবার অশোধিত পাম তেলকে রফতানি নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় দিয়েছে বলে খবর। কিন্তু বিষয়টি খুব একটা পরিষ্কার নয় যে, ঠিক কোন ধরনের তেল সেখান থেকে আনা যাবে। সূত্রের দাবি, সে দেশ থেকে আসা বেশিরভাগ পাম তেলই প্রক্রিয়াজাত। ফলে তাতে ভারতে প্রভাব পড়বেই।

Advertisement

করোনায় আর্থিক ভাবে বেহাল হয়েছেন বহু মানুষ। অনেকে কাজ খুইয়েছেন। কারও রোজগার কমেছে। অসংখ্য পরিবার কোভিড সংক্রমণে একমাত্র রোজগেরে মানুষকে হারিয়ে অথৈ জলে। অথচ সেই ক্ষত ভরার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম চড়ায় যাতায়াতের জ্বালানি, রান্নার গ্যাস, খাদ্যপণ্য-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ সামগ্র কার্যত আগুন।

যুদ্ধের পরিবেশে ভোজ্য তেল-সহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানিও ধাক্কা খেয়েছে। যার আঁচ এসে পড়েছে খুচরো বাজারে। পাম ও সয়াবিন তেলের দাম নজিরবিহীন উচ্চতায় উঠেছে। ভারত ভোজ্য তেলের চাহিদার ৬০% আমদানি করে। এই পরিস্থিতিতেই উদ্বেগ বাড়িয়ে সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়া জানায়, ২৮ এপ্রিল থেকে পাম তেলের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বসাচ্ছে। অথচ ওই দেশ থেকেই সব থেকে বেশি পাম তেল কেনে ভারত। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এতে তার দাম স্বল্প মেয়াদে ১০%-১৫% চড়তে পারে।

Advertisement

তবে দুর্ভোগ শুধু সেখানেই থেমে থাকবে না। বিস্কুট, কেক-এর পাশাপাশি মার্জারিন, চকোলেট, নাটেলা স্প্রেড-এর মতো বেশ কিছু পণ্য তৈরির কাঁচামাল পাম তেল। তা লাগে শ্যাম্পু, সাবানের মতো বিভিন্ন প্রসাধনী দ্রব্য তৈরির ক্ষেত্রেও। সূত্রের দাবি, এতে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, নেস্‌লে, ব্রিটানিয়া, গোদরেজ কনজ়িউমার্স প্রোডাক্টস, ম্যারিকো-র মতো ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলির উৎপাদন খরচ বাড়বে। সে ক্ষেত্রে বিক্রি ধাক্কা খেলেও পণ্যের দাম বাড়ানো ছাড়া পথ খোলা থাকবে না বলে আশঙ্কা।

সংশ্লিষ্ট শিল্পের সংগঠন সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টস অ্যাসোসিয়েশন ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে দ্রুত আলোচনা শুরুর আর্জি জানিয়েছে। তাদের মতে, তা না হলে রফতানি বন্ধ হলে দেশ ক্ষতির মুখে পড়বে। তবে শিল্পের একাংশের দাবি, ইন্দোনেশিয়ার পক্ষেও বেশি দিন রফতানি বন্ধ রাখা কঠিন। কারণ সেখানে বিপুল তেল রাখার পরিকঠামো নেই। তা সত্ত্বেও রফতানি না খুললে ভারত কী ভাবে সঙ্কট এড়াবে, তা নিয়েই চলছে চর্চা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন