LPG Cylinder

কম হলেও, এ মাসে ফের মিলবে গ্যাসে ভর্তুকি

মার্চের মধ্যে সিলিন্ডারের দাম পুরো ডিজিটাল পদ্ধতিতেই মেটানোর ব্যবস্থা চালু করার কথা কেন্দ্র ভাবছে বলে খবর। যদিও আদৌ তা কতটা বাস্তবোচিত সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২০ ০৪:৩১
Share:

—ফাইল ছবি

গত মাসে কয়েকটি জায়গা ছাড়া রাজ্যের প্রায় কোথাওই ভর্তুকি পাননি রান্নার গ্যাসের গ্রাহকেরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ১৪.২ কেজির ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম ভর্তুকিযুক্তের চেয়েও কমে যাওয়াতেই তা মেলেনি। তেল সংস্থা সূত্রের খবর, এ বার ফের দাম বাড়ায় বাজারদরে ওই সিলিন্ডার কেনার পরে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে প্রাপ্য ভর্তুকি জমা পড়বে। পাশাপাশি মার্চের মধ্যে সিলিন্ডারের দাম পুরো ডিজিটাল পদ্ধতিতেই মেটানোর ব্যবস্থা চালু করার কথা কেন্দ্র ভাবছে বলে খবর। যদিও আদৌ তা কতটা বাস্তবোচিত সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

গত অগস্ট থেকে ঘোষণা ছাড়াই ধাপে ধাপে ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের দাম বাড়ানো বা ভর্তুকি কমানোর অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। সাধারণ ভর্তুকিযোগ্য গ্রাহকের চেয়ে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার গ্রাহকের ভর্তুকির অঙ্কও বাড়ানো হয়। গত মাসে ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারের দাম কলকাতায় ১৯০ টাকা কমে হয় ৫৮৪.৫০ টাকা। জুনে তা ৩১.৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬১৬ টাকা। তেল সংস্থা সূত্রের খবর, মে মাসে উত্তর দিনাজপুরের পাঁচটি জায়গায় ইন্ডেনের গ্রাহকেরা নামমাত্র ভর্তুকি পেলেও তাদের ও অন্য সংস্থার বাকি গ্রাহকেরা পাননি। এ মাসে ভর্তুকি পাওয়ার যোগ্যরা সকলেই তা পাবেন। যেমন কলকাতায় ভর্তুকি মিলবে ১৯.৫৭ টাকা। দুর্গাপুরে ২৯.৬৪ টাকা ও শিলিগুড়িতে ৩২.৫০ টাকা। সাধারণত বিভিন্ন এলাকায় দামের হেরফেরের জন্যও ভর্তুকির অঙ্ক আলাদা হয়। তবে এপ্রিল-মে-জুনে কেন্দ্র একটি করে সিলিন্ডার বিনামূল্যে উজ্জ্বলা যোজনার গ্রাহকদের দিচ্ছে। ওই গ্রাহকেরা বাড়তি সিলিন্ডার কিনলে কত ভর্তুকি পাবেন, তা এখনও আলাদা করে তেল সংস্থাগুলিকে জানায়নি কেন্দ্র।

এ দিকে, সিলিন্ডার কেনার দাম সাধারণত গ্রাহকেরা নগদেই মেটান। খুব কম গ্রাহকই ডিজিটাল পদ্ধতির আশ্রয় নেন। সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রের খবর, ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে পুরোদস্তুর ডিজিটাল ব্যবস্থা চালুর জন্য তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বলেছে কেন্দ্র। তেল সংস্থাগুলির রাজ্যের কর্তাদের দাবি, এমন নির্দেশ আসেনি। তবে সেই পরিকাঠামো তৈরি নিয়ে প্রাথমিক কথা

Advertisement

চললেও, তা বাধ্যতামূলক হবে কি না নিশ্চিত নয়। কারণ প্রথমত, কাউকে এ ভাবে বাধ্য করা যায় কি না, তা স্পষ্ট নয়। উজ্জ্বলা যোজনা বা প্রবীণ গ্রাহকদের মতো অনেকের সেই সুবিধা না-থাকতে পারে। তাঁরা স্বচ্ছন্দ না-ও হতে পারেন। আবার ডিজিটাল লেনদেনে জালিয়াতি কী ভাবে রোধ করা যায়, সেটা আগে নিশ্চিত করা দরকার। কর্তাদের একাংশের অবশ্য দাবি, আপাতত এই ব্যবস্থার সম্ভাবনা

খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডিস্ট্রিবিউটর ও সংস্থার তরফে প্রস্তুতি সেরে রাখা যেতে পারে। যাতে কেউ ডিজিটালে টাকা দিতে চাইলে বঞ্চিত না-হন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন