Electric Cars

বৈদ্যুতিকের ভর্তুকি-নীতি বদলের দাবি

বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনকারীদের সংগঠনটির বক্তব্য, তার শর্ত নিয়ে গোলযোগের জন্য গাড়ি বিক্রি করেও বিপুল ভর্তুকি বকেয়া রয়েছে সংস্থাগুলির। ভর্তুকির জোগান বন্ধ হওয়ায় ধাক্কা খেয়েছে বিক্রি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:১৬
Share:

গাড়ি বাজারে অংশীদারি নামমাত্র হলেও বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলছে বেশ কিছু দিন ধরে। প্রতীকী ছবি।

দেশের সার্বিক গাড়ি বাজারে অংশীদারি নামমাত্র হলেও বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলছে বেশ কিছু দিন ধরে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই শ্রেণির দু’চাকা, তিন চাকা, যাত্রিবাহী ও বাস মিলিয়ে মোট ১১.৫২ লক্ষ গাড়ি বিক্রি হয়েছে বলে জানাল সোসাইটি অব ম্যানুফ্যাকচারার্স অব ইলেকট্রিক ভেহিক্‌লস (এসএমইভি)। তবে তাদের বক্তব্য, ভর্তুকির নিয়মের জটিলতার ফলে দু’চাকার বিক্রি হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫% কম। সেই নিয়মে কিছুটা সংশোধন আনার দাবি জানিয়েছে তারা।

Advertisement

এখন শুধু দ্রুত গতির (ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটারের বেশি) এবং ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দামের বৈদ্যুতিক দু’চাকায় ভর্তুকি মেলে। বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনকারীদের সংগঠনটির বক্তব্য, তার শর্ত নিয়ে গোলযোগের জন্য গাড়ি বিক্রি করেও বিপুল ভর্তুকি বকেয়া রয়েছে সংস্থাগুলির। ভর্তুকির জোগান বন্ধ হওয়ায় ধাক্কা খেয়েছে বিক্রি। এসএমইভি সূত্রের খবর, ফেম পিজিপি ভর্তুকি প্রকল্পে স্থানীয় ভাবে তৈরি যন্ত্রাংশ ব্যবহারের লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হয়। গাড়ি শিল্পের দাবি, অতিমারির সময়ে সেই শর্ত সব ক্ষেত্রে পূরণ করা যায়নি। সেই যুক্তিতে প্রায় ১২০০ কোটি টাকার ভর্তুকি আটকে দিয়েছে সরকার।

এসএমইভি-র আর্জি তিনটি। প্রথমত, স্থানীয় যন্ত্রাংশের নিয়মটি ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে কার্যকর করে দ্রুত বকেয়া ভর্তুকি মিটিয়ে দেওয়া হোক। দ্বিতীয়ত, অন্তত তিন-চার বছর ভর্তুকি চালু থাকুক। তৃতীয়ত, গাড়ি সংস্থা নয়, সরাসরি ক্রেতাকেই ভর্তুকি দিক সরকার।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন