খাদ্যশস্য ভরার জন্য চটের বস্তা কেনার দায়িত্ব ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সাপ্লাইজ অ্যান্ড ডিসপোজাল (ডিজিএসডি)-এর হাত থেকে ফিরিয়ে নিল কেন্দ্র। তার বদলে বস্তা সংক্রান্ত সব দায়িত্বই পেয়েছে জুট কমিশনারের দফতর। সম্প্রতি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চটকলগুলি থেকে বিভিন্ন রাজ্যের প্রয়োজনমাফিক বস্তা কেনার দায়িত্ব ছিল বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন ডিজিএসডি-র। তবে কোন রাজ্যের কত বস্তা লাগবে ও তার মান বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করে বস্ত্র মন্ত্রকের আওতাভুক্ত জুট কমিশনারের দফতর। আবার, বস্তার দাম মেটায় খাদ্য মন্ত্রক। অর্থাৎ, একই কাজের জন্য তিনটি মন্ত্রকের তিনটি বিভাগকে ব্যস্ত রাখা হয়। বৈঠকে এই সব দায়িত্বই তুলে দেওয়া হয়েছে জুট কমিশনারের হাতে।
কিন্তু এই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত পরিকাঠামো তাঁর দফতরের নেই, স্বীকার করেছেন জুট কমিশনার সুব্রত গুপ্ত। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘বাণিজ্য মন্ত্রকের বক্তব্য ছিল চটের বস্তার মান পরীক্ষা, কেনা, পেমেন্ট ও বিলির জন্য আলাদা আলাদা বিভাগ থাকবে কেন? তিনটি বিভাগের কাজকর্ম নিয়ে বড় বড় খাদ্যশস্য উৎপাদক রাজ্যগুলি অনেক দিন ধরেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল। টাকা পেতে দেরি ও সরবরাহ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে চটকলগুলিও। তাই ২০১৩ সালে বাণিজ্য মন্ত্রক এই প্রস্তাব দেয়। এত দিনে তাতেই সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় সরকার।’’
সুব্রতবাবু জানান, কমিশনারের দফতরে এত দায়িত্ব সামলানোর লোকবল নেই। তা সত্ত্বেও ১ নভেম্বর থেকে দায়িত্ব হস্তান্তর কার্যকর করার কথা ঘোষণা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যাতে লোকবল ও সংশ্লিষ্ট অন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়, সে জন্য ১১ অগস্ট দিল্লিতে বৈঠক হবে খাদ্য, বস্ত্র ও বাণিজ্য মন্ত্রকের।
চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-র প্রধান মণীশ পোদ্দার বলেন, ‘‘বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, যত দিন না নিয়োগ হচ্ছে, তত দিন কেন্দ্রীয় এজেন্সিই কেনাকাটার দায়িত্ব চালাবে। না হলে চটকলগুলি বন্ধ হয়ে যাবে।’’