‘বিশিষ্ট জনের’ ফোনেও ক্ষোভ যায়নি ট্রাম্পের

হার্লে ডেভিডসনের মতো দামি দু’চাকার গাড়ির উপর ভারত যে আমদানি শুল্ক চাপিয়ে রেখেছে, তাতে বেজায় চটেছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৪
Share:

নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘গলাগলি’ বন্ধুত্বে করের কাঁটা।

Advertisement

হার্লে ডেভিডসনের মতো দামি দু’চাকার গাড়ির উপর ভারত যে আমদানি শুল্ক চাপিয়ে রেখেছে, তাতে বেজায় চটেছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর মতে, এ আসলে মুক্ত বাণিজ্যের পথে দেওয়াল। বুধবার সরাসরি তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর নাম করেননি। কিন্তু যে ভাবে ভারতে থেকে ‘বিশিষ্ট ভদ্রলোকের’ (গ্রেট জেন্টলম্যান) ফোন করার কথা তিনি বলেছেন, তার মধ্যে খানিকটা হলেও ব্যঙ্গের ছোঁয়া খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ বলছেন, দাভোসে মুক্ত বাণিজ্যের পথে দেওয়াল তোলা নিয়ে সরব হয়েছিলেন মোদী। তাঁর বক্তৃতায় ট্রাম্পকে খোঁচাও খুঁজে পেয়েছিলেন অনেকে। তাঁদের প্রশ্ন, এ কি তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাল্টা?

হালে দামি বিদেশি মোটরসাইকেলে শুল্ক আগের ৭৫% থেকে ছেঁটে ৫০% করেছে কেন্দ্র। ট্রাম্প জানিয়েছেন, সেই খবরই তাঁকে ফোনে দিয়েছিলেন ‘ওই ভদ্রলোক’। কিন্তু তাতে ক্ষোভ কমেনি ট্রাম্পের। বরং তাঁর প্রশ্ন, ভারত থেকে আসা মোটরসাইকেলে যখন তাঁরা কর বসান না, তখন তা মার্কিন বাইকে কেন?

Advertisement

শুধু সমালোচনা বা ক্ষোভই নয়, পাল্টা হিসেবে আমেরিকার বাজারে বিক্রির জন্য পাড়ি জমানো ভারতের দু’চাকাগুলির উপরেও আমদানি শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ভারত থেকে হাজার হাজার দু’চাকার গাড়ি আমেরিকায় ঢোকে বিক্রির জন্য। কিন্তু তাঁরা কোনও করই বসান না সেগুলিতে। যে কারণে ভারতের এই আচরণকে সত্যিকারের অবাধ বাণিজ্যের বিরোধী তকমা দিয়ে তাঁর দাবি, কর যদি নিতেই হয়, তবে তা দু’পক্ষেরই নেওয়া উচিত। একতরফা ভাবে নেওয়া চলবে না।

ধাক্কা এসেছে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদের থেকেও। মেধাসত্ত্ব বিধি শক্ত ভাবে না-মানায় এখনও ভারতকে কালো তালিকায় রাখতে চান তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন