Gurudwara

গুরুদ্বারে ‘ধর্মদ্রোহ’! পঞ্জাবে যুবককে পিটিয়ে খুন করলেন স্থানীয়েরা

পুলিশের ডেপুটি সুপার সুখবিন্দর সিংহ জানিয়েছেন, মৃতের নাম বকশিস সিংহ। বন্ডালা গ্রামের বাবা বীর সিংহ গুরুদ্বারে ধর্মগ্রন্থের পাতা ছিঁড়েছিলেন তিনি। তার পরেই ক্ষুব্ধ জনতা তাঁকে মারধর শুরু করে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৪ ১২:০২
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

১৯ বছরের যুবককে পিটিয়ে খুন। অভিযোগ, পঞ্জাবের ফিরোজপুরের গুরুদ্বারে ধর্মগ্রন্থ ‘গুরু গ্রন্থ সাহিব’-এর পাতা ছিঁড়েছেন তিনি। তার পরেই শুরু হয় মারধর।

Advertisement

পুলিশের ডেপুটি সুপার সুখবিন্দর সিংহ জানিয়েছেন, মৃতের নাম বকশিস সিংহ। বন্ডালা গ্রামের বাবা বীর সিংহ গুরুদ্বারে ধর্মগ্রন্থের পাতা ছিঁড়েছিলেন তিনি। তার পরেই ক্ষুব্ধ জনতা তাঁকে মারধর শুরু করে। ওই ব্যক্তির নামে ‘ধর্মদ্রোহিতা’-র অভিযোগ এনেছে। নিহতের বাবার দাবি, বকশিস মানসিক ভারসাম্যহীন। দু’বছর ধরে চিকিৎসা চলছিল। তিনি থানায় ফোন করে তাঁর ছেলেকে মারধরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, এর আগে বকশিস কখনও ওই গুরুদ্বারে আসেননি। পাতা ছেঁড়ার পর তিনি ছুটে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁকে ধরে ফেলেন লোকজন। খবর ছড়িয়ে পড়লে গুরুদ্বারে গ্রামের আরও লোকজন জড়ো হন। সকলে মিলে বকশিসকে মারধর করতে শুরু করেন। ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, বকশিসের হাত বাঁধা। তাঁর শরীর দিয়ে রক্ত গড়াচ্ছে। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার আগেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। ডিএসপি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

Advertisement

অকাল তখতের প্রধান (জাঠেদার) জিয়ানি রঘবীর সিংহ জানিয়েছেন, ‘ধর্মদ্রোহিতা’-র ঘটনা আটকাতে সফল নয় আইন। দোষীদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। ওই যুবকের শেষকৃত্য কোনও গুরুদ্বারে করতে বারণ করেছেন তিনি। তাঁর পরিবারকে সামাজিক ভাবে ‘বয়কট’-এর ডাকও দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, আইন ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলেই সাধারণ মানুষ উদ্যোগী হয়েছেন শাস্তি দিতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন