লোকসান মুছে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ডিভিসি

শুক্রবার প্রবীরবাবু জানান, মুনাফা এতখানি বাড়াতে তাঁদের হাতিয়ার হবে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। দেনায় জেরবার হয়ে যে কেন্দ্রের মালিকানা এক সময় নেভেলি লিগনাইটকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৮ ১০:৪৭
Share:

এত দেনা ঘাড়ে চেপেছিল যে, লাভের মুখ দেখা প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। গত অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে সেই ডিভিসিরই ঝুলিতে এল ১৯ কোটি টাকার মুনাফা। পাক্কা তিন বছর তিন মাস পরে। সংস্থার চেয়ারম্যান প্রবীরকুমার মুখোপাধ্যায়ের দাবি, চলতি অর্থবর্ষের শেষে তা পৌঁছবে ৫৫০ কোটিতে। যদিও পুরো ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে লোকসান হয়েছে ৮৭০ কোটি টাকা (অপরীক্ষিত)।

Advertisement

শুক্রবার প্রবীরবাবু জানান, মুনাফা এতখানি বাড়াতে তাঁদের হাতিয়ার হবে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। দেনায় জেরবার হয়ে যে কেন্দ্রের মালিকানা এক সময় নেভেলি লিগনাইটকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এখন সেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ ইউনিটে ১.৬৫ টাকা। চেয়ারম্যানের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের কোথাও এত সস্তায় উৎপাদন হয় না। এই বিদ্যুৎ বেচেই মোটা মুনাফা করার আশা তাঁদের।

এর পাশাপাশি, সংস্থা চালানোর খরচ কমাও ঘুরে দাঁড়ানোর অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। আরও যে সব কারণে মোটা লাভের আশা সংস্থা কর্তাদের, তার মধ্যে রয়েছে— তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির ব্রয়লার থেকে টারবাইন চাঙ্গা করে তোলায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি। এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে জাতীয় বাজারে (গ্রিড) ভাল দামে তা বিক্রি। বাংলাদেশে রফতানির বরাত পাওয়া। বকেয়া বিলের পাওনা কমা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement