উৎসবের মরসুমে নেট বাজার দখলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ই-কমার্স সংস্থা-গুলির বাজি এ বার ছোট শহর।
তাই তাদের নিশানা করেই বাণিজ্যিক ঘুঁটি সাজিয়েছে ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন থেকে শুরু করে পেটিএম মলের মতো সংস্থা। শপ-ক্লুজের মতো অনেকে আবার মূলত এই বাজার ধরতে বেছেছে কম নামী-দামি ব্র্যান্ড বিক্রির রাস্তা।
বিশেষজ্ঞ সংস্থা রেডসিয়ার কনসালটিং-এর সমীক্ষা বলছে, ৫ বছরে ছোট শহর থেকে ই-কমার্সের ব্যবসা ১৭% বাড়বে। ২০২০ সালে মোট ব্যবসার ৪০% দেবে তারা। আর উৎসবের বিক্রিবাটাতে প্রায় ৫০% তাদেরই অবদান। যে-দৌড়ে মাঝে-মধ্যে পিছিয়ে পড়ছে মেট্রো শহরও।
আর এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতেই ঝাঁপাচ্ছে ছোট-বড় সব নেট বাজার। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, নেটে খুচরো ব্যবসা বছরে প্রায় ৪০% হারে বাড়ার অন্যতম কারণ ছোট শহরে ই-কমার্সের জনপ্রিয়তা। দ্রুত এতে নাম লেখাচ্ছে বর্ধিষ্ণু গ্রামগুলিও। প্রায় ৯% ব্যবসা জোগাচ্ছে তারা।
উৎসবের বাজারে ‘সেল’ দেওয়ার আগে করা ফ্লিপকার্টের সমীক্ষাও দেখিয়েছে, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, কলকাতা নয়, দ্বিতীয়-তৃতীয় স্তরের শহরের সৌজন্যেই গত ত্রৈমাসিকে প্রতিযোগিতায় এগিয়েছে তারা। সংস্থার মোবাইল ফোন বিক্রির ভারপ্রাপ্ত আয়াপ্পান রাজাগোপাল জানান, যে-কারণে এ বছর ‘সেল’-এর তালিকায় তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকার স্মার্ট ফোনের ১০টি মডেল রাখা হয়েছে। গত বছর যা ছিল দু’টি।
অ্যামাজনও একই লক্ষ্যে প্রত্যন্ত জায়গায় জিনিস পৌঁছতে হাত ধরছে ছোট দোকানের। সংস্থার অন্যতম কর্তা কভিশ চাওলা জানান, ছোট শহরে সব ব্র্যান্ড পৌঁছয় না বলে বাছাইয়ের সুযোগ কম। এ বার সেই ফারাক কমাচ্ছেন তাঁরা। পেটিএম মল কর্তৃপক্ষের দাবি, ডিজিটাল লেনদেন যে-পরিচিতি দিয়েছে, তাতে আস্থা রেখেই গন্তব্য এ বার ছোট শহর।