জিএসটি জমানায় ই-ওয়ে বিল চালুর সম্ভাবনা অক্টোবরে

নতুন ব্যবস্থায় ৫০ হাজার টাকার বেশি মূল্যের পণ্য সরবরাহের জন্য পরিবহণের আগে তা অনলাইনে নথিভুক্ত করাতে হবে। তার ভিত্তিতেই তৈরি হবে বৈদ্যুতিন বা ই-ওয়ে বিল। কর দফতরের অফিসাররা জানান, সেটি সহজেই পিওএস যন্ত্রে যাচাই করার জন্য সফটওয়্যার তৈরি হলে তবেই তা কার্যকর করা যাবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৭ ০৩:৩৫
Share:

নতুন পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) জমানায় বৈদ্যুতিন ওয়ে-বিল ব্যবস্থা অক্টোবর থেকেই চালু হতে পারে। সরকারি সূত্রে এই ইঙ্গিত, ওই সময়ের মধ্যেই মূল সফটওয়্যার তৈরি হয়ে যাবে। গত ১ জুলাই জিএসটি চালু হলেও ই-ওয়ে বিল ব্যবস্থা চালু করা যায়নি। কারণ, তার নিয়ম ও নির্ধারিত ফর্ম তখনও তৈরি ছিল না।

Advertisement

নতুন ব্যবস্থায় ৫০ হাজার টাকার বেশি মূল্যের পণ্য সরবরাহের জন্য পরিবহণের আগে তা অনলাইনে নথিভুক্ত করাতে হবে। তার ভিত্তিতেই তৈরি হবে বৈদ্যুতিন বা ই-ওয়ে বিল। কর দফতরের অফিসাররা জানান, সেটি সহজেই পিওএস যন্ত্রে যাচাই করার জন্য সফটওয়্যার তৈরি হলে তবেই তা কার্যকর করা যাবে। এর জন্য জিএসটি নেটওয়ার্কের (জিএসটিএন) সঙ্গে হাত মিলিয়ে পরিকাঠামো তৈরি করছে ন্যাশনাল ইনফর্ম্যাটিক্স সেন্টার (এনআইসি)।

সরকারি সূত্রে খবর, কোনও পণ্য ১ হাজার কিমির বেশি দূরত্বে পরিবহণ করতে হলে এ ভাবে তৈরি হওয়া ওয়ে বিল বৈধ থাকবে ২০ দিন। আগে তার মেয়াদ ১৫ দিন ছিল, যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, এ ছাড়া আরও কম দূরত্বে পণ্য আদান-প্রদানের সময়ে ই-ওয়ে বিলের বৈধতার মেয়াদও হবে কম।

Advertisement

৫ অগস্ট জিএসটি পরিষদের বৈঠকে ই-ওয়ে বিল প্রসঙ্গ উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিল সংক্রান্ত নিয়ম চূড়ান্ত হলেই এনআইসি এবং জিএসটিএন এ নিয়ে সর্বভারতীয় কাঠামোটি তৈরি করবে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, ওডিশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও বিহারের মতো রাজ্যে ইতিমধ্যেই ই-ওয়ে বিল ব্যবস্থা যথেষ্ট ভাল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানানো হয়েছে। তাই ওই সব রাজ্যকে আপাতত নিজেদের নিয়মই বহাল রাখতে বলেছে পরিষদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন