অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল।—ফাইল চিত্র।
অন্তর্বর্তী বাজেটের আগে হাতে মাত্র কয়েকটা দিন। তার আগে আর্থিক লক্ষ্যচ্যুত হওয়া নিয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক করল খোদ প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ। সাবধান করে দিয়ে বলল, পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, সরকার যেন অর্থনীতিকে আঁটোসাঁটো করার পথ থেকে না সরে যায়। অর্থাৎ বার্তা স্পষ্ট, রাজকোষ হোক বা রাজস্ব, পাখির চোখ হোক ঘাটতির লক্ষ্য পূরণই। যদিও এই মুহূর্তে রাজকোষ ঘাটতি বাড়ার আশঙ্কাই কেন্দ্রের সব থেকে বড় মাথাব্যথার কারণ।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, খোদ পরিষদের তরফে এই হুঁশিয়ারি তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষত বাজারে যেখানে জোর জল্পনা, কৃষক থেকে ছোট-মাঝারি শিল্প বা সাধারণ মধ্যবিত্ত— ভোটের আগে সকলকে কাছে টানতে নানা আর্থিক সুবিধা ঘোষণা করতে পারে মোদী সরকার। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সে জন্যই তড়িঘড়ি এ রকম সতর্ক বার্তা শোনাল পরিষদ।
এ দিকে এই দিনই উপদেষ্টা সংস্থা মুডি’জের আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, এত সব আর্থিক সুবিধা চালু হলে রাজকোষ ঘাটতি ৩.৪% ছুঁতে পারে। যেখানে লক্ষ্য ৩.৩%।
আর্থিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা বজায় রাখার বার্তা দিলেও, সামাজিক সুরক্ষা ও উন্নয়ন জারি রাখার উপরে অবশ্য জোর দিয়েছে পরিষদ। সওয়াল করেছে সংস্কারের পথে অনড় থাকার জন্যও। আর সেই সঙ্গে পরিষদের আশা, আগামী কয়েক বছরে ভারতে বৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৭%-৭.৫%।