Coronavirus

পূরণ হয়নি প্রত্যাশা, বাড়ছে ক্ষোভ   

গাড়ি শিল্পের আরও দাবি, কেন্দ্রের বিভিন্ন স্তরে বৈঠকে সাময়িক জিএসটি হ্রাস ও পুরনো গাড়ি বাতিলের নীতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২০ ০৫:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি

গাড়ি শিল্পের দাবি, তারা রুজি জোগায় ৩.৭ কোটি মানুষের। পর্যটন শিল্প বলছে, তাদের ক্ষেত্রে তা পাঁচ কোটিরও বেশি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্যাকেজে তাদের জন্য ছিঁটেফোঁটাও কিছু নেই বলে দাবি করেছে এই দুই শিল্প। অথচ লকডাউনের ধাক্কা যে সমস্ত ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পড়েছে, তার প্রথম সারিতেই রয়েছে তারা। এই অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করে গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়াম এবং পর্যটন শিল্পের সংগঠন ফেইথের প্রশ্ন, তা হলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কেন্দ্রের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে, নির্দিষ্ট প্রস্তাব জমা দিয়ে লাভ কী হল? সাহায্য না-মেলায় কাজে কোপ পড়ার আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছে তারা।

Advertisement

সিয়ামের প্রেসিডেন্ট রাজন ওয়াধেরা সোমবার বলেন, ‘‘চাহিদা বাড়াতে ও কর্মহানি রুখতে সরাসরি আর্থিক সাহায্যের আশায় ছিল গাড়ি শিল্প। কৃষির প্যাকেজের পরোক্ষ প্রভাব কিছুটা মিললেও অনেকটা সময় লাগবে।’’ গাড়ি শিল্পের আরও দাবি, কেন্দ্রের বিভিন্ন স্তরে বৈঠকে সাময়িক জিএসটি হ্রাস ও পুরনো গাড়ি বাতিলের নীতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্যাকেজে তা-ও গ্রাহ্য করা হয়নি।

পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিংহ পটেলকে দেওয়া চিঠিতে ফেইথের চেয়ারম্যান নকুল আনন্দ বলেছেন, গত ১০ সপ্তাহ ধরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, পর্যটন মন্ত্রক-সহ বিভিন্ন মন্ত্রক, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং ২৮টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের আশা তৈরি হয়েছিল, এ বার বোধহয় কিছু সুরাহা মিলবে। কিন্তু ফল হয়েছে ‘অবিশ্বাস্য’। এর ফলে বহু সংস্থা দেউলিয়া হবে ও প্রচুর কাজ খোয়া যাবে বলে দাবি তাঁর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement