হাল ফেরার আশায় দিন গুনছে রফতানি শিল্প

বণিকসভা সিআইআইয়ের ডিজি চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চলতি বছরে রফতানি কমছে। এই অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন ছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৫
Share:

সরকরারের সব সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েই সুদিন ফেরার আশা করছে রফতানি শিল্প।

পাঁচ বছরে দেশের অর্থনীতিকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারে নিয়ে যেতে কেন্দ্রের অন্যতম বাজি রফতানি। অথচ পরিসংখ্যান বলছে, অগস্টে রফতানি কমেছে ৬.০৫%। এপ্রিল থেকে অগস্টেও হিসেবটা স্বস্তির নয়। তার উপরে দেশে চাহিদা ও কল-কারখানায় কর্মকাণ্ড কমার ইঙ্গিত দিয়ে ধাক্কা লেগেছে আমদানিতে। এই অবস্থায় রফতানি শিল্পের জন্য শনিবার একগুচ্ছ দাওয়াই ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এ দিন সেই সব সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েই সুদিন ফেরার আশা করছে রফতানি শিল্প। তাদের মতে, শুধু স্বল্প মেয়াদেই নয়, বিশ্ব বাণিজ্য নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে এই ঘোষণা দীর্ঘ মেয়াদেও সুরাহা দেবে। রফতানি শিল্পের পাশে দাঁড়ানোয় নির্মলাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালও।

Advertisement

বণিকসভা সিআইআইয়ের ডিজি চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চলতি বছরে রফতানি কমছে। এই অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন ছিল। কর ও শুল্ক ছাড়ের নতুন প্রকল্প শিল্পকে কিছুটা সুরাহা দেবে।’’ তাঁর ও অ্যাসোচ্যামের প্রেসিডেন্ট বি কে গোয়েন্‌কার আশা, বন্দর ও বিমানবন্দরে ছাড়পত্রের সময় কমানোয় প্রতিযোগিতায় এগোতে পারবে ভারতীয় রফতানিকারীরা।

চিন-মার্কিন শুল্ক-যুদ্ধের জেরে বিদেশে চাহিদা যখন ধাক্কা খাচ্ছে, সেই সময়ে এই পদক্ষেপ দীর্ঘ মেয়াদেও দেশের রফতানিতে গতি আনবে বলে মত এই শিল্পের সংগঠন ফিয়োর প্রেসিডেন্ট শরদ কুমার সরাফের। তাঁর মতে, ঋণে বিমার সুরক্ষা বাড়ানোয় উপকৃত হবে ছোট ও মাঝারি শিল্প।

Advertisement

নজরে রফতানি

• জানুয়ারি থেকেই শুল্ক ও করছাড়ের নতুন প্রকল্প রেমিশন অব ডিউটিজ় অর ট্যাক্সেস অন এক্সপোর্ট প্রোডাক্ট।
• এখন যে দু’টি প্রকল্প (এমইআইএস এবং পুরনো আরওএসএল) চালু রয়েছে, তা বন্ধ ৩১ ডিসেম্বর।
• এই খাতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা।
• রফতানিকারীদের আগে মেটানো কর রিফান্ডের বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা চালু।
• ঋণের গ্যারান্টি প্রকল্প ও ‘এক্সপোর্ট ক্রেডিট ইনসিওরেন্স স্কিমে’ বাড়বে বিমার সুরক্ষা। সুবিধা হবে ছোট শিল্পের।
• রফতানিতে বাড়বে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ঋণের সুবিধা। ফলে অতিরিক্ত ৩৬,০০০-৬৮,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া যাবে।
• অবাধ বাণিজ্য চুক্তিতে শুল্ক ছাড়ের সুবিধা পেতে বাণিজ্য মন্ত্রকের কর্তার নেতৃত্বে বিশেষ ‘মিশন’।
• পরের বছর থেকে দেশে চারটি জায়গায় হস্তশিল্প, যোগ, পর্যটন, বস্ত্র ও চর্ম শিল্পের প্রদর্শনী ও মেলা।

রফতানির জন্য ঋণ ৩৬,০০০ কোটি টাকা বাড়ানোয় ছোট শিল্পের সুবিধা হবে বলে দাবি ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানিকারীদের সংগঠন ইইপিসির পূর্বাঞ্চলীয় চেয়ারম্যান রবি সেহগল ও ইন্ডিয়ান চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ময়াঙ্ক জালানের। তবে রবি জানান, রফতানিতে ঋণের উপর সুদ কমানোর আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। এতে শিল্পের আরও সুবিধা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন