ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মর্জি অনুযায়ী সুদের হার কমাচ্ছেন না সে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজ়ার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল। আগের দফায় নিজের হাতে নিয়োগ করা পদাধিকারীর এই ‘আনুগত্যের অভাব’ ক্ষিপ্ত করে তুলেছে ট্রাম্পকে। তাই এ বার তিনি বিভিন্ন ভাবে পাওয়েলের উপরে চাপ তৈরি শুরু করেছেন। সম্প্রতি নিজের সমাজমাধ্যমে কার্যত নির্দেশের ভঙ্গিতে ট্রাম্প লিখেছিলেন ‘সুদ কমান’! এখন তাঁর নতুন অস্ত্র ‘বিপুল’ খরচ করে শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রধান দফতরের মেরামতি। তাঁর শিবিরের অভিযোগ, আইনসভার কাছেও এই সিদ্ধান্ত গোপন করেছেন পাওয়েল।
প্রেসিডেন্টের বাজেট পরামর্শদাতা রস ভট সম্প্রতি পাওয়েলকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। জানিয়েছেন, এই মেরামতি সরকারি ভবনের বিধি ভেঙে থাকতে পারে। এই নিয়ে প্রেসিডেন্ট অত্যন্ত বিরক্ত। একই সঙ্গে একটি অখ্যাত কমিশনের দুই সদস্যকে ফেডেরাল রিজ়ার্ভ ভবনের পরিকল্পনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প।
পাওয়েলকে ফেডের গভর্নর পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন বারাক ওবামা। তার পরে ট্রাম্প তাঁকে শীর্ষ পদে আনেন। সেই পাওয়েলের সঙ্গেই ট্রাম্পের তিক্ততা এখন চরমে পৌঁছেছে। আগামী বছরের মে মাসে পাওয়েলের আট বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ট্রাম্প চাইছেন, হয় তিনি সুদ কমান অথবা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরে যান। এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের যুক্তি, সুদ কমলে বিভিন্ন ধরনের ঋণেও সুদ কমবে। চাহিদা বাড়বে বাজারে। কমবে সরকারের ঋণ শোধের খরচও। যদিও শীর্ষ ব্যাঙ্কের বার্তা, প্রেসিডেন্টের আগ্রাসী আমদানি শুল্ক দেশে মূল্যবৃদ্ধির হারও বাড়িয়ে তুলতে পারে। তার জন্য আগাম সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞ মহলের ব্যাখ্যা, ট্রাম্প ঋণ শোধের খরচ কমার কথা ভাবলেও বাজার সেই ভাবে সাড়া দেবে, এমনটা না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হবে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে