arrears

বকেয়া মীমাংসায় দেরি, সমস্যা মানলেন নির্মলা

পরিচালন ব্যবস্থার অনিয়মের জন্য পিএমসি ব্যাঙ্কের মতো বড় আন্তঃরাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের উপরে কড়াকড়ি চাপিয়েছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। যার ফলে সব চেয়ে বেশি দুর্গতিতে পড়েন ছোট আমানতকারীরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:১১
Share:

বহু ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি ও দেউলিয়া সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা সত্ত্বেও ঋণদাতা এবং পাওনাদারদের বকেয়া দ্রুত মেটানো যাচ্ছে না। প্রতীকী ছবি।

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি, কিংবা দেউলিয়া সংস্থা। তাদের থেকে বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি ঋণদাতা ও পাওনাদারদের ফেরাতে লম্বা আইনি রাস্তায় হাঁটতে হচ্ছে। সোমবার লোকসভায় এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলের এক প্রশ্নের উত্তরে এই সমস্যার কথা মেনে নিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

Advertisement

পরিচালন ব্যবস্থার অনিয়মের জন্য পিএমসি ব্যাঙ্কের মতো বড় আন্তঃরাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের উপরে কড়াকড়ি চাপিয়েছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। যার ফলে সব চেয়ে বেশি দুর্গতিতে পড়েন ছোট আমানতকারীরা। আবার বহু ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি ও দেউলিয়া সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা সত্ত্বেও ঋণদাতা এবং পাওনাদারদের বকেয়া দ্রুত মেটানো যাচ্ছে না। এই নিয়েই প্রশ্ন করেছিলেন সুপ্রিয়া। নির্মলার বক্তব্য, এই ধরনের মীমাংসা প্রক্রিয়া বহুস্তরীয়। অনেক ক্ষেত্রেই তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমে বাজেয়াপ্ত হওয়া একটি সম্পদের একাধিক পাওনাদার থাকে। থাকেন খুচরো আমানতকারীরাও। কিন্তু তাঁদের টাকা ফেরাতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির একাংশ বিচ্ছিন্ন করে ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। উদ্বিগ নির্মলার বক্তব্য, ‘‘এই ধরনের মামলার মীমাংসায় এতটাই সময় লাগে যে, ছোট আমানতকারীরা চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েন। কী ভাবে এই পদ্ধতিকে আরও সরল করা যায় তা দেখতে হবে।’’

এ দিন অন্য প্রশ্নের উত্তরে ৫০ জন বৃহত্তম ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির তালিকা দিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভগবত কারাড। তাদের বকেয়া প্রায় ৯২,০০০ কোটি টাকা। শীর্ষে মেহুল চোক্সীর গীতাঞ্জলি জেমস (৭৮৪৮ কোটি)।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন