দু’দিন আগেই ভারতের রেটিং বাড়ার আশায় জল ঢেলেছে মূল্যায়ন বহুজাতিক ফিচ। গত এক বছর ধরে কেন্দ্রের লাগাতার সওয়ালের পরেও তা একই জায়গায় (BBB-) রেখেছে তারা। আর এই সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলল কেন্দ্র। জোরালো সওয়াল করে বলল, রেটিং বাড়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করেছে ভারত। কারণ, ইতিমধ্যেই প্রাথমিক ও কাঠামোগত সংস্কারের পথে হেঁটেছে দেশ। যেখানে অর্থনীতির উন্নতির রসদ মজুত আছে যথেষ্ট পরিমাণ।
এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রের আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষ চন্দ্র গর্গের দাবি, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি, ভারতের রেটিং বাড়ার যোগ্যতা রয়েছে। অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল।’’ তিনি বলেন, অর্থনীতি সম্পর্কে সংস্থাটির মনোভাব ইতিবাচক। তবে তারা বেশি গুরুত্ব দিয়েছে সরকারি ঋণকে। গর্গের মতে, এ নিয়ে ফিচ আগেও দুশ্চিন্তার আভাস দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু অর্থনীতির উন্নতির স্বার্থে কেন্দ্র যে সংস্কারের পদক্ষেপ করেছে, তা ভাবা উচিত ছিল। বস্তুত ফিচ বলেওছে, গত অর্থবর্ষে সরকারি ঋণ জাতীয় আয়ের ৬৯ শতাংশে পৌঁছনোর কথা। আঙুল তুলেছে ঘাটতি, এমনকী দুর্বল প্রশাসনের দিকে। যদিও ভারতের অর্থনীতি সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি ‘স্থিতিশীল’ (স্টেব্ল) রেখেছে তারা।
গর্গের অবশ্য দাবি, ভবিষ্যতে অর্থনীতির সাফল্য নিয়ে রেটিং সংস্থাগুলিকে বোঝানোর চেষ্টা বহাল রাখবে কেন্দ্র। তুলে ধরবে, কী ভাবে আরও বেশি মানুষকে করের আওতায় এনে পরোক্ষ করের ছবি বদলে দিয়েছে জিএসটি। ব্যাঙ্কে অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা কমাতে কতটা কাজে দিয়েছে দেউলিয়া আইনের দাওয়াই।