বিমা, পেনশন প্রকল্পে পরীক্ষামূলক পর্বেই সামিল ৫.৫ কোটি মানুষ, দাবি মোদীর

সকলের কাছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দিতে প্রথমে জন-ধন প্রকল্প। পরের ধাপে সামাজিক সুরক্ষা পরিকল্পনায় দু’টি বিমা ও একটি পেনশন প্রকল্প। আর্থিক ও সামাজিক প্রকল্পের উপর ভর করে দেশের আমজনতার কাছে পৌঁছতে তৎপর কেন্দ্রের মোদী সরকার। দ্বিতীয় ধাপ, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সূচনা শনিবার কলকাতা থেকে করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবং তাঁর দাবি, আনুষ্ঠানিক সূচনার আগের সাত দিনের পরীক্ষামূলক পর্বেই পাঁচ কোটি পাঁচ লক্ষ মানুষ ওই সব প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৫ ০১:৩৯
Share:

নজরুল মঞ্চে প্রকল্প ঘোষণা করছেন নরেন্দ্র মোদী।—নিজস্ব চিত্র।

সকলের কাছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দিতে প্রথমে জন-ধন প্রকল্প। পরের ধাপে সামাজিক সুরক্ষা পরিকল্পনায় দু’টি বিমা ও একটি পেনশন প্রকল্প। আর্থিক ও সামাজিক প্রকল্পের উপর ভর করে দেশের আমজনতার কাছে পৌঁছতে তৎপর কেন্দ্রের মোদী সরকার। দ্বিতীয় ধাপ, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সূচনা শনিবার কলকাতা থেকে করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবং তাঁর দাবি, আনুষ্ঠানিক সূচনার আগের সাত দিনের পরীক্ষামূলক পর্বেই পাঁচ কোটি পাঁচ লক্ষ মানুষ ওই সব প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।

Advertisement

জমি-বিল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কোণঠাসা করতে চাইছেন বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই ‘স্যুট-বুটের সরকার’ বলে মোদী-সরকারের বিরুদ্ধে গরিব-বিরোধী তকমা দেওয়ার প্রচেষ্টাও চলছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্কিং ও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পকে হাতিয়ার করেই আমজনতার কাছে পৌঁছতে কেন্দ্র উদ্যোগী বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের। তবে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ভোটের দিকে তাকিয়ে এই সব পদক্ষেপ তাঁরা করছেন না।

এ দিন কলকাতায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী দু’টি বিমা প্রকল্প (প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনা) এবং একটি পেনশন প্রকল্পের (অটল পেনশন যোজনা) সূচনা করেন। একই সঙ্গে এ দিনই দেশের আরও ১১৫টি জায়গা থেকেও প্রকল্প -গুলির সূচনা হয়।

Advertisement

এ দিন শহরে নজরুল মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী জানান, জন-ধন প্রকল্পের মতোই সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলি চালু হওয়ার আগে গত ১ মে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল পরীক্ষামূলক পর্ব। সেই সময়কালে ৫.৫ কোটি মানুষ এই ব্যবস্থার সুযোগ নিয়েছেন। এ রাজ্যে সেই সংখ্যাটা ৪২ লক্ষ। তাঁদের মধ্যে সোনালি ধর এবং নিতাই চন্দ্র মণ্ডল দু’টি প্রকল্প নিয়েছেন। এবং রুমা চক্রবর্তী অটল পেনশন যোজনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের হাতে সেই সংক্রান্ত নথি তুলে দেন। এ বছরের জন্য এই প্রকল্পগুলিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সময়সীমা ছিল আগামী ১ জুলাই। প্রধানমন্ত্রী জানান, তা বাড়িয়ে ৩১ আগস্ট করা হচ্ছে।

এখনও দেশের অধিকাংশ নাগরিক ব্যাঙ্কিং ও বিমা পরিষেবার বাইরে রয়েছেন। সেটাই জন-ধন বা এ দিনের বিমা প্রকল্পগুলি আনার মূল লক্ষ্য বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। কারণ উন্নয়নের সুফল গরিবের ঝুপড়িতে না-পৌঁছলে তা অসম্পূর্ণ থেকে যায় বলেই মনে করেন তিনি। তাই এক দিকে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং অন্য দিকে, সকলের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর দাবি, জন-ধন প্রকল্পে ভাল সাড়া মিলেছে। ১.৫ কোটি অ্যাকাউন্টে মাসে জমা পড়ছে ১৫,৮০০ কোটি টাকা। তাঁর মতে, দরিদ্র মানুষকে নিছক সাহায্য নয়, তাঁকে জন-ধন প্রকল্পের আওতায় আর্থিক ভাবে শক্তিশালী করার ব্যবস্থা গড়ে তোলাই জরুরি। তেমনই বিমা ও পেনশন প্রকল্পগুলিও ভাল সাড়া পাবে বলেই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আনা সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলিকে স্বাগত জানিয়েছে সিআইআই। বণিকসভাটির প্রেসিডেন্ট সুমিত মজুমদার বলেন, জন-ধন যোজনার পরে, সাধারণ মানুষকে সামাজিক সুরক্ষা দিতে আরও এক ধাপ এগোল কেন্দ্র। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে প্রকল্পগুলি সরাসরি যুক্ত হওয়ার কারণে আগামী দিনে অনেক বেশি মানুষের কাছে বিমা এবং পেনশনের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া যাবে। ফলে সবাইকে আর্থিক পরিষেবার আওতায় নিয়ে আসা আরও সহজ হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন