মৃত্যু, চোট-আঘাত, ব্যাগ খোওয়া যাওয়া বা উড়ান ছাড়ায় চূড়ান্ত দেরি। সফরের সময় এই ধরনের বিভিন্ন দুর্ঘটনাতেই আগামী দিনে যাত্রীদের ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে ভারতের বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলিকে। যা আগের তুলনায় অনেকটা বেশি। সংশোধিত বিমান পরিবহণ আইন কার্যকর হলেই চালু হবে ক্ষতিপূরণের এই নতুন নিয়ম।
দেশের ক্ষতিগ্রস্ত বিমান যাত্রীদের বেশি আর্থিক সাহায্য দেওয়ার লক্ষ্যে আনা এই বিমান পরিবহণ (সংশোধিত) বিল ইতিমধ্যেই সংসদে পাশ হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, সংশোধিত আইনে সায় মিলেছে রাষ্ট্রপতিরও। সেখানে বলা হয়েছে, এ রকম বিভিন্ন ঘটনায় আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় বিমান সংস্থাগুলি যে হারে ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলতে হবে ভারতের সংস্থাগুলিকে। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নির্ধারিত হবে তা নিয়ে বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলির মধ্যে আগেই হয়ে থাকা চুক্তির ভিত্তিতে। যে হিসাব অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ক্ষতি অর্থাৎ দুর্ঘটনায় মৃত্যু কিংবা চোটের ক্ষেত্রে ওই অঙ্ক এক কোটি টাকা (কিংবা তারও বেশি) হতে পারে। উড়ানে দেরি হলে, মালপত্র খোওয়া গেলে বা নষ্ট হলে, এমনকী তা পেতে দেরি হলেও ক্ষতিপূরণ আগের থেকে বাড়বে।
সংশোধিত এই আইন কার্যকর হলেই কেন্দ্রীয় সরকার ওই চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিমান সংস্থাগুলির আর্থিক দায়বদ্ধতার নতুন সীমা ধার্য করে দেবে। নতুন আইন অনুযায়ী, এই উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি জারির ক্ষমতা কেন্দ্রের রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় বিমান সংস্থাগুলির ক্ষতিপূরণের সীমা প্রতি পাঁচ বছরে সংশোধন করে রাষ্ট্রপুঞ্জের আওতাধীন আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহণ সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন)। ১৩.১% মূল্যবৃদ্ধির হার ধরে, তার ভিত্তিতেই ঠিক হয় ক্ষতিপূরণের ঊর্ধ্বসীমা।