ঋণনীতি ফিরে দেখতে বসে গত ৭ জুন খুচরো বাজারে দাম বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রঘুরাম রাজন। আর, সেই কারণেই তিনি সুদের হারে রদবদল করেননি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নরের উদ্বেগ যে অমূলক ছিল না, সেই ইঙ্গিতই দিল তার ঠিক এক সপ্তাহ বাদে প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান। সোমবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক জানিয়েছে, মে মাসে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ছুঁয়েছে ৫.৭৬%। মূলত শাক-সব্জি, ডাল-চিনি, মাছ-মাংস-ডিমের মতো দৈনন্দিন বাজারের তালিকায় থাকা খাদ্য সামগ্রীর কোনওটিই রেহাই পায়নি। ফলে অগস্টে ফের ঋণনীতি পেশ করার সময়ে, এমনকী চলতি অর্থবর্ষে সুদ কমানোর পথে আরবিআই হাঁটবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সমীক্ষা অনুযায়ী খুচরো মূল্যবৃদ্ধি মে মাসে ৫.৫২ শতাংশে দাঁড়াবে বলে ইঙ্গিত মিলেছিল। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির সরীসৃপ আরও অনেকটাই মাথা তুলেছে বলে ধরা পড়েছে এ দিনের সরকারি পরিসংখ্যানে। বস্তুত গত প্রায় দু’বছরে তা এত বেশি হারে বাড়েনি। এপ্রিলের হার ৫.৪৭%।
মে মাসে শুধু শাক-সব্জির খুচরো দরই দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে বলে সরকারি হিসেবে জানা গিয়েছে। এপ্রিলে ৪.৮২ শতাংশ হারে বাড়লেও মে মাসের বৃদ্ধি ১০.৭৭%। ডিমের দাম এপ্রিলে ৬.৬৪% বাড়লেও মে মাসে ছুঁয়েছে ৯.১৩%। ভাল বর্ষাই মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে পারবে বলে মনে করছে কেন্দ্র।
অন্য দিকে, লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে এগিয়ে খুচরো মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আনার ভার এ বার কেন্দ্রের উপরই বর্তাতে চলেছে। সরকারি গেজেটে প্রকাশিত সংশোধিত আরবিআই আইনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রই পাঁচ বছরে একবার করে ওই লক্ষ্যমাত্রা স্থির করবে, তবে শীর্ষ ব্যাঙ্কের সঙ্গে পরামর্শ করে। এই সংক্রান্ত বিলটি গত মাসেই সংসদে পাশ হয়েছে। আরবিআইয়ের ডেপুটি গভর্নর উর্জিৎ পটেলের নেতৃত্বে গড়া কমিটি অবশ্য সুপারিশ করেছিল, শীর্ষ ব্যাঙ্ক দু’বছরের জন্য খুচরো মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেবে ৪ শতাংশে (ফারাক কম-বেশি ২ শতাংশ)।