IT Return and Form-16

ফর্ম-১৬ হাতে থাকলেও জমা হবে না আইটি রিটার্ন! আর কী কী নথি লাগবে চাকরিজীবী করদাতাদের?

দেশ জু়ড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ২০২৫-’২৬ মূল্যায়ন বছরের আয়কর রিটার্ন জমা করার কাজ। চাকরিজীবী করদাতাদের এর জন্য হাতের কাছে রাখতে হচ্ছে ফর্ম-১৬। তবে শুধুমাত্র ওই ফর্ম দিয়ে কিন্তু রিটার্ন জমা করতে পারবেন না তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৫ ১৪:২৬
Share:

—প্রতীকী ছবি।

শুরু হয়ে গিয়েছে ২০২৫-’২৬ মূল্যায়ন বছরের আয়কর রিটার্ন (ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন বা আইটি রিটার্ন) জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া। এর জন্য চাকরিজীবী করদাতাদের একান্ত ভাবে প্রয়োজন ফর্ম-১৬। নিয়োগকারী সংস্থার থেকে এটি হাতে পাবেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট ফর্মটিতে থাকে চাকরিজীবী করদাতার বেতন বাবদ আয় এবং ট্যাক্স ডিডাকটেড অ্যাট সোর্স বা টিডিএসের তথ্য। এ-হেন ফর্ম-১৬ হাতে থাকলেই কি জমা করা যাবে আইটি রিটার্ন? কী বলছে ভারতের আয়কর আইন? আনন্দবাজার ডট কমের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।

Advertisement

আয়কর দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, ফর্ম-১৬-এ শুধুমাত্র একজন সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার কর্মীর বেতন সংক্রান্ত তথ্য থাকে। এর বাইরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্য কোনও ক্ষেত্রে থেকে আয় করছেন কি না, তার কোনও উল্লেখ থাকে না ওই ফর্মে। ফলে কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট ফর্মটির উপরে ভিত্তি করে আইটি রিটার্ন জমা করলে আয়ের ব্যাপারে সব কিছু জানাতে পারবেন না ওই ব্যক্তি। আয়কর আইনের নিরিখে যা অপরাধ।

রিটার্ন জমা করার সময় সংশ্লিষ্ট করদাতাকে ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্ট, স্থায়ী আমানত (ফিক্সড ডিপোজিট), মেয়াদি আমানত (রেকারিং ডিপোজ়িট) এবং বিভিন্ন বন্ড থেকে প্রাপ্ত সুদবাবদ আয় সংক্রান্ত তথ্য দিতে হয়। কোনও ব্যক্তির সুদবাবদ বার্ষিক আয় ৪০ হাজার টাকার বেশি হলে ১০ শতাংশ টিডিএস কেটে থাকে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এর সীমা ৫০ হাজার টাকা। তবে আয়করের নিয়ম অনুযায়ী, টিডিএস কাটুক বা না কাটুক এই সংক্রান্ত তথ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিতে হবে রিটার্ন জমার সময়ে।

Advertisement

বর্তমানে অনেকেই অতিরিক্ত রোজগারের জন্য চাকরির বাইরেও ফ্রিল্যান্স লেখালিখি, কন্টেন্ড ক্রিয়েশন, গিগ-ডিজ়াইন এমনকি অ্যাপ ক্যাব চালানোর কাজও করে থাকেন। এগুলি থেকে প্রতি মাসে মোটা টাকা রোজগার হয় তাঁদের। ফর্ম-১৬-এ এর কোনও উল্লেখ থাকে না। রিটার্ন জমার সময় কিন্তু এই তথ্যও দিতে হবে সংশ্লিষ্ট করদাতাকে।

এ ছাড়া লটারি জয়, করযোগ্য উপহার এবং পারিবারিক সম্পত্তি থেকে আয়ের বিষয়টিও অনুপস্থিত ফর্ম-১৬-এ। গত কয়েক বছরে ভারতে শেয়ার বাজার, মিউচুয়াল ফান্ড এবং ক্রিপ্টো মুদ্রায় লগ্নির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া বাড়িভাড়া বাবদ আয়, স্বাস্থ্য বিমা, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে অর্থদান এবং শিক্ষাঋণের সুদ বাবদ তথ্যের উল্লেখ থাকে না ফর্ম-১৬-এ। রিটার্ন জমা করার সময় এই তথ্যগুলির কিন্তু প্রয়োজন পড়বে। এ বছর ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন জমা করতে পারবেন চাকরিজীবী করদাতারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement