একই দিনে আশা-নিরাশার সাক্ষী থাকল দেশের গাড়ি শিল্প।
বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর কাছে যন্ত্রাংশ জুড়ে গাড়ি তৈরির কথা ঘোষণা করল সুইডেনের গাড়ি সংস্থা ভলভো-কারস। আবার এ দিনই মার্কিন গাড়ি বহুজাতিক জিএম জানাল এ বছরের শেষ নাগাদই এ দেশে গাড়ি বিক্রি বন্ধ করবে তারা। এক সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ি সংস্থার মুকুট পরা সংস্থাটির এই ঘোষণায় কাজ হারাবেন সংশ্লিষ্ট পরিষেবায় যুক্ত প্রায় ৪০০ কর্মী। যদিও সংস্থার দাবি, রফতানির জন্য মহারাষ্ট্রের তালেগাঁও কারখানায় গাড়ি তৈরি চালু থাকবে। গত মাসে অবশ্য উৎপাদন বন্ধ হয়েছে গুজরাতে হালোল কারখানায়।
সংস্থার আশ্বাস, এ দেশে তাদের গাড়ি যাঁরা কিনেছেন, তাঁদের যন্ত্রাংশ ও পরিষেবা পেতে অসুবিধা হবে না। কলকাতায় অন্যতম ডিলার দুলিচাঁদ মোটরসের কর্তা রবি সাইনি জানান, ‘‘শহরে মাসে ৫০-৬০টি গাড়ি বিক্রি হয়। ঘোষণার কথা সংস্থার আঞ্চলিক অফিস থেকে জেনেছি। আগামী কাল ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানানো হবে।’’
১৯৯৬ সালে এ দেশে পা রাখে জিএম। কিন্তু বিশ্বের অন্যতম সম্ভাবনাময় এই বাজারে কখনও সে ভাবে জায়গা করে নিতে পারেনি তারা। ২০০৮ সালের বিশ্ব জোড়া মন্দার সময়ে জিএম দেউলিয়া হয়ে গেলেও, ভারতে বিক্রি বন্ধ করেনি। উৎপাদন বাড়াতে ২০১৫ সালে ১০০ কোটি ডলার লগ্নির কথাও বলেছিল তারা। কিন্তু সব কিছুর পরেও সংশ্লিষ্ট শিল্পের হিসেবে, গত অর্থবর্ষে এ দেশে তাদের বাজার দখল ১ শতাংশের নীচে নামে। এখন তৈরি হয় শুধু ‘বিট’।
এগ্জিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট স্টেফান জ্যাকবি বলেন, ‘‘এ দেশে বাড়তি লগ্নির পরিকল্পনা লাভজনক হবে না। তাই এই সিদ্ধান্ত।’’ তবে জিএম ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ও এমডি কাহের কাজেম জানান, গত এক বছরে তাঁদের রফতানি ৩ গুণ বেড়েছে।