নিলাম শেষের পরের দিনই স্পেকট্রাম বণ্টনের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে, রাজকোষে রেকর্ড অঙ্ক (১.০৯ লক্ষ কোটি টাকা) আনতে চলা ওই নিলামের ভিত্তিতে সংস্থাগুলির হাতে স্পেকট্রাম তুলে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও কেন্দ্রকে নিতে বলল তারা।
স্পেকট্রাম বেচে মোট কত টাকা ভাঁড়ারে আসছে, নিলাম চলাকালীন রোজ তা জানিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু কোন সার্কেলে কোন স্পেকট্রাম কার হাতে যাচ্ছে, সেই ঘোষণা তখন করতে পারেনি। কারণ, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, একমাত্র আজকের রায়ের পরেই বিক্রি হওয়া স্পেকট্রামের মালিকানা ঘোষণা করা যাবে। ফলে এ দিন সুপ্রিম কোর্টের রায় স্বাভাবিক ভাবেই স্বস্তি দিল মোদী সরকারকে। প্রথমত, জয়ী সংস্থাগুলিকে এ বার স্পেকট্রাম দিতে পারবে তারা। দ্বিতীয়ত, দশ দিনের মধ্যে প্রথম কিস্তি হিসেবে হাতে পাবে ২৮,৮৭২ কোটি টাকা। রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রায় বেঁধে রাখতে যা সহায়ক হবে বলে অনেকের মত। সম্ভবত সেই কারণে সংস্থাগুলিকে ৩১ মার্চের মধ্যেই ওই প্রাথমিক অঙ্ক মেটানোর আহ্বানও জানান টেলিকম মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর আশা, এই বিপুল টাকা সংস্থাগুলিকে গুনতে হলেও মোবাইল মাসুল তার জন্য বাড়বে না।
নিলামে অংশ নেয় এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়া-সহ ৮ সংস্থা। ওই ৩ সংস্থাই উপুড় করেছে ৮৫,৩৯৬ কোটি টাকা। কোনও স্পেকট্রাম জেতেনি শুধু টেলিনর।