আড়াই লক্ষ পর্যন্ত জমায় জেরা নয়

নোটে নজরদারি কী ভাবে, খোলসা করল কেন্দ্র

নোট বাতিলের ঘোষণার পরে ব্যাঙ্কে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকা জমা দেওয়া কাউকে অকারণে হেনস্থা করা হবে না বলে ফের আশ্বস্ত করল প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:০৪
Share:

নোট বাতিলের ঘোষণার পরে ব্যাঙ্কে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকা জমা দেওয়া কাউকে অকারণে হেনস্থা করা হবে না বলে ফের আশ্বস্ত করল প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ। জানাল, জেরা করা হবে না অ্যাকাউন্টে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে। কেউ তার থেকে বেশি টাকা জমা দিলে ও আগের আয়কর রিটার্নের সঙ্গে তার সাযুজ্য না-থাকলে, তবেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। আর কড়া ব্যবস্থার মুখে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটির মতো মোটা টাকা জমা দিলে।

Advertisement

সোমবার বণিকসভা সিআইআই আয়োজিত আলোচনাসভায় পর্ষদের চেয়ারম্যান সুশীল চন্দ্র জানান, কী ভাবে তথ্য বিশ্লেষণের (ডেটা অ্যানালিটিক্স) আতসকাচে নোট নাকচের পরে জমা পড়া টাকাকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, জমাকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে—

(১) দু’লক্ষ থেকে ৮০ লক্ষ টাকার কম

Advertisement

(২) ৮০ লক্ষ ও তার বেশি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশ অনুযায়ী ২.৫ লক্ষ পর্যন্ত কোনও জমাকে আপাতত তদন্তের আতসকাচে আনা হচ্ছে না। ৫ লক্ষ বা তার বেশি অঙ্কের জমাই আয়কর দফতর প্রথমে খতিয়ে দেখছে বলে জানান তিনি।

৮ নভেম্বর নোট বাতিলের ঘোষণার পর থেকেই অভিযোগ উঠেছিল যে, অনেকে কম-কম করে টাকা রেখে দিচ্ছেন অন্যের জন-ধন অ্যাকাউন্টে। সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন, আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমাকে যদি ধর্তব্যের মধ্যেই না-আনা হয়, তা হলে সেগুলি ধরা পড়বে কী ভাবে?

চন্দ্র জানিয়েছেন, নোট নাকচের ঘোষণার পরের ৫০ দিনে ব্যাঙ্কে টাকা দিলেই যে হেনস্থার মুখে পড়তে হবে, এমন নয়। দেখা হচ্ছে, জমা করা অঙ্ক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থার পুরনো আয়কর রিটার্নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না।

তাঁর কথায়, কারও করযোগ্য আয় যদি বছরে ১০ লক্ষ টাকা হয় এবং তিনি ৩ লক্ষ তখন জমা দিয়ে থাকেন, তবে কর দফতর তাঁকে ছোঁবে না। একই ভাবে, কোনও সংস্থার হিসেবের খাতায় হয়তো হাতে থাকা নগদ ১০ লক্ষ টাকা দেখানো আছে। আর তারা জমা দিয়েছে ৫ লক্ষ। সমস্যা নেই সে ক্ষেত্রেও। কিন্তু তিন বছর রিটার্ন ফাইল না-করা কেউ যদি হঠাৎ ৫ লক্ষ টাকা জমা দেন, তা হলে তো প্রশ্নের মুখে পড়তে হবেই। অথবা কেউ রিটার্নে রোজগার আড়াই লক্ষ দেখিয়ে পরে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ১০ লক্ষ টাকা জমা দিয়ে থাকলে, জেরার মুখে পড়তে হতে পারে তাঁকেও।

তবে জিজ্ঞাসাবাদ করা মানেই যে কেউ শাস্তিযোগ্য, তা নয়। রিটার্নের সঙ্গে জমার অঙ্ক না-মিললে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থা সে বিষয়ে সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারলে, একমাত্র তবেই শাস্তির প্রশ্ন উঠবে বলে এ দিন আশ্বাস দিয়েছেন চন্দ্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন