প্রতীকী ছবি।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়ছে প্রতি দিন। প্রথাগত লগ্নির পাশাপাশি মিউচুয়াল ফান্ডেও টাকা রাখছেন আমজনতার একটা বড় অংশ। কিন্তু শেয়ারে লেনদেনের আদৌ কি অধিকার রয়েছে সরকারি কর্মচারীদের? কী ভাবে এই ধরনের কেনাবেচা করবেন তাঁরা? আনন্দবাজার ডট কমের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
এ দেশের সরকারি কর্মচারীদের ১৯৬৪ সালের ‘সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস (কন্ডাক্ট) রুলস’ মেনে চলতে হয়। এই আইন অনুযায়ী, তাঁরা শেয়ার বা ডিবেঞ্চারে লগ্নি করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে তাঁদের। বিধি ভেঙে স্টকে বিনিয়োগ করলে বড় ধরনের শাস্তির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরকারি কর্মচারীদের আচরণ বিধিমালার ৩৫ নম্বর ধারায় দ্রুত লাভের জন্য দৈনিক লেনদেন বা ডে ট্রেডিং এবং স্বল্পমেয়াদি কেনাবেচা করতে বিশেষ ভাবে নিষেধ করা হয়েছে। সমস্ত লগ্নি তাঁরা নিজের নামে বা তাঁদের স্ত্রীর নামে করতে পারেন। এ ছাড়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যৌথ ভাবে স্টকে লেনদেনের অধিকার রয়েছে তাঁদের।
সরকারি কর্মচারীদের শেয়ারে লেনদেনের কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। কিন্তু, ঘন ঘন তা করার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ ছাড়া স্টকে লগ্নি এবং সম্পদের মোট মূল্য দু’মাসের মূল বেতনের (বেসিক পে) বেশি হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে তা অবশ্যই সরকারকে জানাতে হবে।
স্টকের মতো সরকারি কর্মচারীরা মিউচুয়াল ফান্ডেও বিনিয়োগ করতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ের জন্য এতে লগ্নিতে কোনও বাধা নেই। কিন্তু স্বল্পমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পাশাপাশি, স্টক এবং মিউচুয়াল ফান্ডে লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সরকারি কর্মচারীকে অবশ্যই নিজের কাছে রাখতে হবে।
এ ছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা সেবি (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া) এবং আয়করের মতো দফতরের কর্মীদের বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। এঁদের ক্ষেত্রে স্টক এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ ওই নিয়মের অধীনে করতে হবে। সাধারণ লগ্নিকারীদের মতো শেয়ারে লেনদেনের জন্য সরকারি কর্মচারীদেরও ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলা বাধ্যতামূলক। অন্য কোনও ভাবে স্টক কেনাবেচা করতে পারবেন না তাঁরা।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)