গৃহস্থের হেঁশেলে পাইপ বাহিত ভর্তুকির প্রাকৃতিক গ্যাস (পিএনজি) পৌঁছে দিচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। —প্রতীকী চিত্র।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গৃহস্থের হেঁশেলে পাইপ বাহিত ভর্তুকির প্রাকৃতিক গ্যাস (পিএনজি) পৌঁছে দিচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। সেই পরিষেবার পরিধি আগামী দিনে আরও বাড়াতে চাইছে সরকার। কিন্তু অভিযোগ, কয়েকটি সংস্থা গ্রাহকদের একাংশের থেকে বেশি দাম নিচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে জ্বালানি ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক পিএনজিআরবি এক নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দিল, সরকারি ভর্তুকিতে গ্যাস কিনে তা গৃহস্থ গ্রাহকদের অভিন্ন দামেই বিক্রি করতে হবে। ভর্তুকির সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে তাঁদের কাছে।
গৃহস্থের বাড়িতে এলপিজি যে দামে পৌঁছয়, হোটেল-রেস্তরাঁর সিলিন্ডারের দাম তার চেয়ে বেশি। তা নির্ভর করে বাজারের উপরে। পিএনজি-র ক্ষেত্রেও নীতি খানিকটা তেমনই। কেন্দ্র চাইছে সাধারণ মানুষের রান্নাঘরে সস্তায় সেই ভর্তুকির গ্যাস পৌঁছে দিতে এবং তার ব্যবহার বাড়াতে। যাতে জ্বালানি ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা কমে। তার জন্য দেশজুড়ে পাইপলাইন বসছে। এমন প্রকল্প হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেও। পিএনজিআরবি তাদের নির্দেশিকায় কোনও সংস্থার নাম না করে জানিয়েছে, কয়েকটি গ্যাস বিক্রয়কারী সংস্থা অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহারের জন্য গ্রাহকের থেকে বেশি দাম নিচ্ছে। এই ধরনের অনুশীলন ঠিক নয়। এর ফলে ভর্তুকির গ্যাসের অপব্যবহার হতে পারে। হয়তো সেই গ্যাস ব্যবহার হতে পারে বাণিজ্যিক ভাবেও।
নিয়ন্ত্রকের পরামর্শ, গ্যাস বিক্রয়কারী সংস্থাগুলি তাদের গ্রাহকদের তথ্য ভান্ডার খতিয়ে দেখুক। চিহ্নিত করুক কোথায় অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে এবং তার কারণ কী। তার উপরে ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুক তারা। তবে সমস্ত গৃহস্থকে অভিন্ন দামেই গ্যাস সরবরাহ করতে হবে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে