প্রতীকী ছবি।
মধ্যবিত্ত ও প্রবীণ নাগরিকদের কিছুটা সুরাহা দিয়ে পিপিএফ থেকে শুরু করে যাবতীয় স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার বাড়াল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
সরকারি সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে সুদের হার বাড়ায় এ বার ব্যাঙ্কগুলিও সঞ্চয়ে সুদের হার বাড়াতে পারে।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর— এই তিন মাসে পিপিএফ, বয়স্কদের সঞ্চয় প্রকল্প, ডাকঘরে মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, কিষাণ বিকাশ পত্র, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা এবং সমস্ত স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার ০.৩ থেকে ০.৪ শতাংশ বাড়ছে। পিপিএফ-এ সুদের হার ৭.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে হচ্ছে ৮ শতাংশ। একমাত্র ডাকঘরের সেভিংস অ্যাকাউন্টে সঞ্চয়ে সুদের হার ৪ শতাংশেই অপরিবর্তিত থাকছে।
আজ অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি টুইট করেন, ‘‘স্বল্প সঞ্চয়কারীদের সাহায্য করতে, শিশুকন্যাদের কল্যাণে এবং বয়স্কদের আর্থিক নিরাপত্তা বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত।’’ গত দু’বছর ধরে তিন মাস অন্তর সুদের হার ঠিক হচ্ছে। সাধারণত নতুন ত্রৈমাসিক শুরুর আগের মাসের শেষে এই ঘোষণা হয়। এ বার তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেখে রাজনীতিকরা মনে করছেন, পেট্রল-ডিজেলের চড়া দামের ক্ষোভের আঁচ কমাতেই এই পদক্ষেপ।
স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার বাড়বে বলে অবশ্য অর্থনীতিবিদরা আশা করছিলেন। কারণ ২০১৬-র এপ্রিল থেকে সরকারি বন্ডের সুদের হারের সঙ্গে ভারসাম্য রেখেই স্বল্প সঞ্চয়ের সুদের হার ঠিক হচ্ছে। সরকারি বন্ডে সুদের হার এখন ৮ শতাংশের বেশি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কও গত জুন ও অগস্টে ব্যাঙ্ককে দেওয়া ঋণের উপর সুদের হার বা রেপো রেট বাড়িয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের ব্যাখ্যা, দেশে সঞ্চয়ের হার খুব ভাল নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বল্প সঞ্চয়ে জমা টাকাকেই ঋণ হিসেবে কাজে লাগিয়ে রাজকোষ ঘাটতি পূরণ করা হয়। সুদের হার বাড়ার ফলে সঞ্চয় বাড়লে সরকারের পক্ষেও সুবিধা হবে। বাজার থেকে চড়া সুদে ধার না-করে, ঘাটতির অনেকখানি স্বল্প সঞ্চয়ে জমা টাকা থেকেই মেটানো যাবে।