জিএসটি-বৈঠকে কাঁটা এ বার পরিষেবা

আগের দিন ঐকমত্যে পৌঁছনো গিয়েছিল। অথচ শুক্রবার যখন তার খুঁটিনাটি জিএসটি পরিষদের দ্বিতীয় বৈঠকের টেবিসে তোলা হল, তখন বেঁকে বসল অন্তত দু’টি রাজ্য। তাদের আপত্তি, যে ১১ লক্ষ সংস্থা পরিষেবা কর দেয়, জিএসটি জমানায় তাদের শুধু কেন্দ্রের এক্তিয়ারে থাকা নিয়ে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৪৩
Share:

আগের দিন ঐকমত্যে পৌঁছনো গিয়েছিল। অথচ শুক্রবার যখন তার খুঁটিনাটি জিএসটি পরিষদের দ্বিতীয় বৈঠকের টেবিসে তোলা হল, তখন বেঁকে বসল অন্তত দু’টি রাজ্য। তাদের আপত্তি, যে ১১ লক্ষ সংস্থা পরিষেবা কর দেয়, জিএসটি জমানায় তাদের শুধু কেন্দ্রের এক্তিয়ারে থাকা নিয়ে। তবে অঞ্চলের ভিত্তিতে যুক্তমূল্য কর (ভ্যাট) ও উৎপাদন শুল্কে ছাড় দেওয়ার যে প্রথা চালু রয়েছে, জিএসটি চালু হলে তা তুলে দেওয়া নিয়ে একমত রাজ্যগুলি। যদিও বাজেট থেকে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে সেই টাকা পুষিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পরিষদ।

Advertisement

এ ছাড়া, সরকারের খাতায় করদাতাদের নথিভুক্তি, কর মেটানো, তার টাকা ফেরত পাওয়া-সহ জিএসটি জমানার পাঁচটি খসড়া বিধিতে সায়ও মিলেছে এ দিনের বৈঠকে।

গত ২২-২৩ সেপ্টেম্বর পরিষদের প্রথম বৈঠকে ঠিক হয়েছিল জিএসটি জমানায় পরিষেবা সংস্থাগুলির করের সবটাই কেন্দ্রের নজরদারিতে থাকবে। এখন পরিষেবা কর কেন্দ্রই আদায় করে। তাই জিএসটি চালু হলে ১১ লক্ষ পরিষেবা করদাতার উপরে নজরদারির অধিকার শুধু কেন্দ্রের হাতেই রাখার কথা ঠিক হয়েছিল। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে আপত্তি ওঠে শুক্রবারের বৈঠকে।

Advertisement

কোনও বৈঠকে আগের বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ার কথা। কিন্তু ঐকমত্য না-হওয়ায় এ দিন তা দেওয়া যায়নি। প্রথমে ভোটে বিষয়টি মেটানোর কথা উঠলেও, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সব রাজ্যকে সঙ্গে নিয়ে হাঁটারই পক্ষপাতী। তাই ১৮-২০ অক্টোবরের বৈঠকের জন্য বিষয়টি স্থগিত রাখা হয়েছে। জিএসটি-র হার, রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণের বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ওই দিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement