আবাসনে কর ফেরত নিয়ে চিঠি

১ এপ্রিল বা তার পরের নতুন প্রকল্পের জন্য তা বাধ্যতামূলক করা হোক।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৯ ০৫:৫৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

লোকসভা ভোটের আগে ফ্ল্যাট-বাড়ির ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে আবাসনে জিএসটি কমানো হয়েছিল। কিন্তু কাঁচামালে মেটানো কর ফেরত পাওয়ার (ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট) সুবিধা তুলে নেওয়া হয়। তার নিয়ম ঠিক করতে মঙ্গলবার ফের জিএসটি পরিষদের বৈঠক বসছে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, চালু আবাসন প্রকল্পে নতুন ব্যবস্থা যেন বাধ্যতামূলক করা না হয়। প্রোমোটার বা আবাসন নির্মাতাদের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হোক, তাঁরা নতুন ব্যবস্থার সুবিধা নেবেন কি না। ১ এপ্রিল বা তার পরের নতুন প্রকল্পের জন্য তা বাধ্যতামূলক করা হোক।

Advertisement

অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে সোমবার চিঠি পাঠিয়েছেন অমিতবাবু। তাঁর যুক্তি, চালু প্রকল্পের ক্ষেত্রে নতুন ব্যবস্থায় জটিলতা ও খরচ বাড়তে পারে। তাতে ক্রেতাদের খুব বেশি লাভ হবে না। উল্টে বেশি দাম দিতে হবে।

২৪ ফেব্রুয়ারি জিএসটি পরিষদের বৈঠকেই প্রশ্ন উঠেছিল, কাঁচামালে মেটানো কর ছাড় তুললে নগদে কারবার, কালো টাকা ও হাওয়ালা লেনদেন আবার ফিরে আসবে না তো! এ নিয়ে খসড়া নিয়ম তৈরির জন্য আমলাদের কমিটি তৈরি হয়।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অমিতবাবুর বক্তব্য, যে প্রস্তাব এসেছে, তা যথেষ্ট জটিল। যদি প্রোমোটাররা ইতিমধ্যেই কাঁচামালে মেটানো কর ফেরত নিয়ে ফেলেছেন, তাঁদের কাছে যেটুকু কাঁচামাল কেনার বিল রয়েছে, শুধু সেটুকুতেই কর ছাড় পাবেন। বাকি কর ছাড় সরকারকে ফিরিয়ে দিতে হবে। প্রতিটি আবাসন প্রকল্পের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ভাবে এই হিসেব হবে। অথচ এতদিন প্রকল্প ধরে ধরে কেউ হিসেব রাখত না। এর ফলে চালু প্রকল্পের খরচ বেড়ে যাবে। ক্রেতাদের বেশি দাম মেটাতে হবে। কর ফাঁকি ও চুরির সুযোগ বাড়বে।

সিদ্ধান্ত অনুসারে ১ এপ্রিল থেকে কম দামি ফ্ল্যাটে জিএসটি ৮% থেকে কমে ১% হবে। দামি ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে তা এখনকার ১২% থেকে কমে হবে ৫%। কিন্তু প্রোমোটাররা কাঁচামালে মেটানো কর ফেরত বা ‘ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট’-এর সুবিধা পাবেন না।

তাঁর দাবি, আবাসন প্রকল্পের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি লিজ ও জমির ডেভেলপমেন্ট রাইটস-এর হস্তান্তরও পুরোপুরি জিএসটি-র আওতার বাইরে রাখা হোক। কমপ্লিশন সার্টিফিকেট ইস্যু হয়ে যাওয়ার পর বিক্রি হওয়া ফ্ল্যাটে এই দুই খাতে জিএসটি আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তাতে ক্রেতাকে বেশি দাম চোকাতে হবে বলে অমিতবাবুর যুক্তি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন