—প্রতীকী চিত্র।
গত পাঁচ বছরের নিরিখে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে জিডিপির তুলনায় পারিবারিক সঞ্চয়ের অনুপাত কমেছে। অন্য দিকে, লাফিয়ে বেড়েছে ঋণের বোঝা। বলছে কেন্দ্রের তথ্যই।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষের এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরির পেশ করা নথিতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে জিডিপির নিরিখে গৃহস্থের সঞ্চয় ছিল ১৯.১%। কিন্তু ২০২৩-২৪ সালে তা নেমে এসেছে ১৮.১ শতাংশে। এটিই সঞ্চয়ের ব্যাপারে কেন্দ্রের শেষ হিসাব। আর একই সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষের সামগ্রিক ঋণের বোঝা ৭.৭ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে পৌঁছেছে ১৮.৮ লক্ষ কোটিতে। তবে পরের বছর (২০২৪-২৫) তা কমে ১৫.৭ লক্ষ কোটি হয়েছে।
দেখা যাচ্ছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের পরে সঞ্চয়ের অনুপাত কিছুটা বেড়েছিল। ২০২০-২১ সালে হয়েছিল ২২.৭%। তার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে তা কমতে থাকে। পরের দু’বছরে যথাক্রমে ২০.১% এবং ১৮.৬ শতাংশের পর ২০২৩-২৪ সালে নামে ১৮.১ শতাংশে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, অতিমারির পরে মূল্যবৃদ্ধি যে হারে বেড়েছিল, মানুষের রোজগার বৃদ্ধি তার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেনি। সংসার টানতে গিয়ে ক্ষয় ধরেছিল নগদ ও স্থায়ী আমানতে। সঞ্চয় কমার সেটা একটা বড় কারণ।
মন্ত্রী জানান, মানুষের ঋণের বোঝা কমাতে এবং আয় ও সঞ্চয় বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র ও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। নির্দিষ্ট কিছু ভোগ্যপণ্য কেনার ঋণ নিয়ন্ত্রণ করতে এনবিএফসিগুলিকে ব্যাঙ্কের দেওয়া ঋণের ঝুঁকির মাপ (রিস্ক মিটার) বাড়িয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। আবার হাতে নগদ বাড়াতে আয়করে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কমানো হয়েছে জিএসটি।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে