পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের জেরে দেশের অর্থনীতিতে লাভ-ক্ষতির হিসেব বুঝতে সমীক্ষা করবে দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়া। তাদের অবশ্য দাবি, কালো টাকার ব্যবহার ও তার হাত ধরে চলা সমান্তরাল অর্থনীতি রুখতে এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল।
প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট মানস কুমার ঠাকুরের বক্তব্য, দেশের অর্থনীতির তিনটি ক্ষত— সমান্তরাল অর্থনীতি, জাল নোট এবং সন্ত্রসবাদে আর্থিক মদত। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত সেগুলির উপর আঘাত হানবে। এটি দৃঢ় পদক্ষেপ। তাঁর দাবি, ‘‘সমান্তরাল অর্থনীতি থেকে দেশের ২ শতাংশ মানুষের লাভ হয় মাত্র। কিন্তু সমস্যায় পড়েন বাকি ৯৮ শতাংশ মানুষ।’’
তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল। কিছু বিশেষজ্ঞের অভিযোগ, আগাম প্রস্তুতি ছাড়াই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার এই পদক্ষেপ করায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে আমজনতাকে। কাজকর্ম ছেড়ে ব্যাঙ্ক এটিএম-এর সামনে গিয়ে লাইন দিতে হচ্ছে তাঁদের। এতে উৎপাদনশীলতা ধাক্কা খাওয়ারও অভিযোগ উঠছে।
মানসবাবু জানান, কেন্দ্রের নোট বাতিলের এই সিদ্ধান্তে যে-সব লাভের কথা বলা হচ্ছে, তা যেমন বিশ্লেষণ করা হবে, পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ানও নেওয়া হবে। এবং সেই সব ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কত দিন সময় লাগবে, সেই হিসেবও কষা হবে ওই সমীক্ষায়। মানসবাবুর দাবি, একটি হিসেব অনুযায়ী ২০১৫-’১৬ সালে ৬.৫০ লক্ষ জাল নোট ভারতের বাজারে ছিল। এর মধ্যে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের সংখ্যাই ৪ লক্ষ।