নোট বাতিলের কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন বেআইনি লেনদেন বন্ধ করার কথা। আর রবিবার ফিনান্সিয়াল ইন্টালিজেন্স ইউনিটের (এফআইইউ) সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানা গেল, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবন্দির পরের অর্থবর্ষে (২০১৭-১৮) দেশে সন্দেহজনক লেনদেনের খবর এসেছে প্রায় ১৪ লক্ষ। আগের তুলনায় ১,৪০০% বেশি। যা নতুন রেকর্ড।
দেশে বেআইনি লেনদেন এবং সন্ত্রাসমূলক কাজে ব্যবহৃত টাকার বিশ্লেষণ করে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীনে থাকা এফআইইউ। নিয়ম অনুসারে, কালো টাকা প্রতিরোধ আইনের আওতায় একমাত্র তারাই ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতি মাসে সন্দেহজনক লেনদেন, জাল নোট, বড় অঙ্কের লেনদেনের তথ্য তলব করতে পারে।
নোট বাতিলের পরে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের লেনদেন নিয়ে তৈরি করা এফআইইউয়ের প্রথম রিপোর্ট জানিয়েছিল, ওই সময়ে সন্দেহজনক লেনদেনের খবর এসেছে ৪.৭৩ লক্ষেরও বেশি। শুধু নোট বাতিলের পরেই ব্যাঙ্কগুলি ৩,৬১,২১৫টি এই ধরনের ঘটনার কথা জানিয়েছিল।
আর এ বার তাদের দাবি, গত অর্থবর্ষে রেকর্ড সংখ্যক সন্দেহজনক লেনদেন ধরা পড়েছে। যার অন্যতম কারণ বেআইনি লেনদেন নিয়ে ক্রমাগত প্রচার এবং নোট বাতিল। এফআইইউ-এর ডিরেক্টর পঙ্কজ কুমার মিশ্র বলেন, গত অর্থবর্ষেও নোটবন্দির পরের লেনদেন খতিয়ে দেখেছে ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি। তার ফলেই ওই সময়ে এত বেশি সন্দেহজনক লেনদেন ধরা পড়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৩-১৪ সালে ৬১,৯৫৩টি, ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে ৫৮,৬৪৬টি এবং ২০১৫-১৬ সালে ১,০৫,৯৭৩টি সন্দেহজনক লেনদেন ধরা পড়েছিল।
তবে সংস্থাটির রিপোর্ট বলছে, ২০১৭-১৮ সালে ধরা পড়া জাল নোটে লেনদেনের তথ্য ২০১৬-১৭ সালের প্রায় ৭.৩৩ লক্ষের তুলনায় কমেছে অনেকটাই। দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৫৪ লক্ষে। যদিও ওই সব নোটে মোট কত টাকা জাল হয়েছে, তা অবশ্য নির্দিষ্ট করে জানায়নি রিপোর্টটি।