দু’দফায় ব্যাঙ্কে টাকা জমায় নজর রাখবে আয়কর দফতর

নভেম্বরে নোট বাতিলের পরে যাঁরা মোটা অঙ্ক ব্যাঙ্কে জমা দিয়েছেন, ২০১৬-র ১ এপ্রিল থেকে তাঁদের লেনদেনের খতিয়ান নেবে আয়কর দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:৩৬
Share:

নভেম্বরে নোট বাতিলের পরে যাঁরা মোটা অঙ্ক ব্যাঙ্কে জমা দিয়েছেন, ২০১৬-র ১ এপ্রিল থেকে তাঁদের লেনদেনের খতিয়ান নেবে আয়কর দফতর।

Advertisement

যে-সব গ্রাহকের সমস্ত সেভিংস অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে আড়াই লক্ষ বা তার বেশি টাকা জমা পড়েছে, তাঁদের লেনদেনের হিসাবই আয়কর দফতরকে জানাতে হবে ব্যাঙ্কগুলিকে। কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে তা ১২.৫ লক্ষ।

আয়কর দতরের কাছে খবর, নোট বাতিলের পর হঠাৎই বহু গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের টাকা জমা পড়েছে। অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার ধারাবাহিকতা খতিয়ে দেখাই এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য আয়কর দফতরের, যাতে টাকার রং সাদা না কালো, তা সহজেই ধরে ফেলা যায়। এর জন্য গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জমা পড়া টাকার হিসাব ব্যাঙ্কগুলির কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে তারা। আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে ব্যাঙ্কগুলিকে ওই হিসাব আয়কর দফতরের কাছে জানাতে হবে।

Advertisement

দু’টি পর্যায়ে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়া টাকার হিসাব জানতে চেয়েছে আয়কর দফতর। প্রথম দফায় ১ এপ্রিল থেকে ৮ নভেম্বর (যে-দিন নোট বাতিল ঘোষণা হল) পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৯ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

আয়কর দফতরের ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের ডিরেক্টর বিক্রম সহায় বলেন, ‘‘দুটি পর্যায়ের টাকা জমার মধ্যে কোনও সামঞ্জস্য আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। উদ্দেশ্য, পরের পর্যায়ে যাঁরা মোটা অঙ্কের টাকা জমা দিয়েছেন, তাঁরা আগেও সে রকম ব্যাঙ্কে জমা দিতেন কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া।’’ সামঞ্জস্যের বড় মাপের ফারাক থাকলে, সেই সব লেনদেনের ব্যাপারে তদন্ত করা হতে পারে বলে জানান সহায়।

পাশাপাশি, এ দিন ওই দফতরের অতিরিক্ত ডিরেক্টর প্রিয়ব্রত প্রামাণিক জানান, অনেক ক্ষেত্রেই প্যান ছাড়া টাকা জমা পড়েছে। যে-সব গ্রাহক প্যান থাকা সত্ত্বেও তা জমার স্লিপে উল্লেখ করেননি, তাঁদের কাছ থেকে তা জানতে বলা হয়েছে ব্যাঙ্কগুলিকে।

এ ছাড়া যে-সব গ্রাহকের প্যান নম্বর নেই তাঁদের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা করিয়ে নিয়ে ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত করাতে হবে। নতুন অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও প্যান থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এত দিন ৫০ হাজার টাকার কম লেনদেনে প্যান দাখিল করতে হত না। প্রিয়ব্রতবাবু জানান, প্যান না-থাকলে আয়করের ৬০ নম্বর ফর্ম পূরণ করে ব্যাঙ্কের কাছে গ্রাহককে জমা দিতে হবে।

তবে জন-ধন অ্যাকান্টের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘‘এটি সাধারণ ভাবে ‘বেসিক অ্যাকাউন্ট’ হিসাবে স্বীকৃত। এতে প্যান দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যদি দেখা যায়, ওই ধরনের কোনও অ্যাকাউন্টে এক লপ্তে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি জমা পড়েছে, অথবা ৯ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে মোট ২.৫০ লক্ষের বেশি জমা পড়েছে, তা হলে প্যান বা ফর্ম ৬০ দিতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন