—প্রতীকী ছবি।
ভালবেসে স্বামীকে ফ্ল্যাট উপহার। এর জন্য আয়করে কতটা ছাড় পাবেন স্ত্রী? উল্টো দিকে করবাবদ কত বেশি অর্থ দিতে হবে স্বামীকে? এই নিয়ে বহু দম্পতির মনে রয়েছে ধোঁয়াশা। উপহার সম্পত্তির ক্ষেত্রে বিশেষ একটি নিয়ম মেনে চলে আয়কর দফতর। আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
এ দেশের আয়কর আইন অনুযায়ী, কোনও স্ত্রী তাঁর স্বামীকে ফ্ল্যাট উপহার দিতেই পারেন। আবার এর উল্টো ঘটনাও ঘটতে পারে। এ ক্ষেত্রে দু’জনের করের উপর তাৎক্ষণিক ভাবে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। কারণ উপহারে পাওয়া সম্পত্তি শর্তসাপেক্ষে করযোগ্য নয়। তবে সংশ্লিষ্ট দম্পতিকে ‘ক্লাবিং প্রভিশন’ জানতে হবে। নইলে পরবর্তী সময়ে বিপদে পড়তে পারেন তাঁরা।
আয়কর আইনে বলা আছে, দু’জন ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট একটি সীমার মধ্যে একে অপরকে যে কোনও বস্তু বা সম্পত্তি উপহার দিতে পারেন। সংশ্লিষ্ট উপহারের বাৎসরিক মূল্য ৫০ হাজার টাকা হলে তাঁদের কাউকে কোনও কর দিতে হবে না। কিন্তু সম্পত্তির মূল্য তার চেয়ে বেশি হলে সেটা অবশ্যই চলে আসবে করের আওতায়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পত্তি দানের ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ নেই। উল্টে সম্পত্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে করে কিছু ছাড় পেয়ে থাকেন তাঁরা।
মজার বিষয় হল, স্ত্রীর উপহার দেওয়া সম্পত্তি থেকে স্বামী কোনও আয় করলে, প্রাপ্ত অর্থের উপর কর দিতে হবে না তাঁকে। এ ক্ষেত্রে আয় বলতে ফ্ল্যাট ভাড়া বা বিক্রিকে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট আয় স্ত্রীর বাৎসরিক রোজগার হিসাবে গণ্য করবে আয়কর দফতর। উপহারে পাওয়া সম্পত্তির বিক্রি করা অর্থ কোনও জায়গায় বিনিয়োগ করলে, একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
এখানে উল্লেখ্য, স্ত্রীর থেকে উপহার হিসাবে পাওয়া সম্পত্তি যখন-তখন বিক্রির অধিকার রয়েছে স্বামীর। সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির মূল দাম এবং যে সময়সীমা পর্যন্ত সেটি স্ত্রীর অধীনে ছিল, তার উপর ওই মহিলার আয়কর ধার্য করবে সরকার। উপহার হিসাবে পাওয়া সম্পত্তি বিক্রি করে দীর্ঘমেয়াদি (লং টার্ম) এবং স্বল্পমেয়াদি মূলধনী লাভ (সর্ট টার্ম ক্যাপিটাল গেইন) পেতে পারেন স্বামী। দু’টি ক্ষেত্রেই ওই আয় স্ত্রীর খাতায় যুক্ত হবে। ফলে করও দিতে হবে তাঁকেই।