সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ভারত থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া বিভিন্ন পণ্যের উপরে কতটা শুল্ক বসবে, তা এপ্রিলের দিকে স্পষ্ট হবে। —প্রতীকী চিত্র।
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বহর ৫০,০০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার জন্য চুক্তি করেছে ভারত এবং আমেরিকা। তবু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বীদের তো বটেই, বাণিজ্য সহযোগীদের উপরেও পাল্টা আমদানি শুল্ক বসাতে চলেছে তাঁর প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ভারত থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া বিভিন্ন পণ্যের উপরে কতটা শুল্ক বসবে, তা এপ্রিলের দিকে স্পষ্ট হবে। ভারত পাল্টা কোনও পদক্ষেপ করে কি না, তা বোঝা যাবে তার পরেই। গোটা প্রক্রিয়ার প্রভাব বুঝতে হিসাব কষছে রফতানি শিল্প মহল। কোনও কোনও মহল এ-ও মনে করছে, ভারতের উপরে আমেরিকার শুল্কের প্রভাব তেমন পড়বে না।
শিল্প মহলের ব্যাখ্যা, বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া পণ্যে শুল্ক চাপলে তার দাম বাড়বে। তা গুনতে হবে আমেরিকার ক্রেতাদেরই। তার জেরে সে দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার বাড়বে। থমকাবে আর্থিক বৃদ্ধি। তবে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে সারা বিশ্বের আর্থিক কর্মকাণ্ডের উপরেও। যার থেকে ছাড় পাবে না ভারত। অন্য দিকে, আমেরিকায় শুল্ক বাড়লে চিনের সস্তা পণ্য সে দেশে না গিয়ে পাড়ি জমাতে পারে ভারত-সহ অন্যান্য দেশে। যা বিশেষ করে এ দেশের ছোট সংস্থাগুলির পক্ষে উদ্বেগের বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে ভারতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উপদেষ্টা সংস্থা জিটিআরআই-এর দাবি, দুই দেশের রফতানি পণ্যের প্রকৃতি আলাদা। সে কারণে আমেরিকার পাল্টা শুল্কের বড় কোনও প্রভাব ভারতের উপরে পড়বে না। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তবের ব্যাখ্যা, পোশাক, জুতো-সহ ভারতের শ্রম নিবিড় পণ্যের উপরে আমেরিকা এখনই ১৫%-৩৫% শুল্ক চাপায়। আবার আমেরিকা থেকে আসা একটা বড় অংশের পণ্যের উপরে ভারত চাপায় ৫% কর। তবে আমেরিকার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার এটা উপযুক্ত সময় নয় বলেই মনে করছে জিটিআরআই। তাদের মতে, এ ব্যাপারে একতরফা ভাবে এগোতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। রফতানি সংস্থাগুলির সংগঠন ফিয়ো-র আবার বক্তব্য, দেশীয় শিল্পের স্বার্থে সতর্ক ভাবে পদক্ষেপ করা উচিত সরকারের। ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সহায়ের কথায়, ‘‘আমেরিকার শুল্ক থেকে দেশীয় পণ্যকে কতটা বাঁচানো যায়, সে দিকে চোখ রেখে পদক্ষেপ করতে হবে কেন্দ্রকে।’’ ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল ইন্ডিয়ার কর্তা পঙ্কজ চড্ডার মতে, বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা ইতিবাচক বিষয় হলেও ট্রাম্পের শুল্ক-হুমকি চিন্তা বাড়াচ্ছে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে