প্রতীকী ছবি।
দেশে ইতিমধ্যেই বাড়ার মুখ নিয়েছে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি। আমজনতার খরচের বোঝা বাড়িয়ে তা আরও উপরে উঠবে বলে আশঙ্কা জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক উপদেষ্টা সংস্থা। মূলত আনাজ ও তেলের চড়া দাম এবং চাহিদা বাড়ার হাত ধরে তা ৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। অক্টোবরে প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ীই তা ছুঁয়েছে ৩.৫৮ শতাংশ, যা গত সাত মাসে সর্বোচ্চ।
খুচরো মূল্যবৃদ্ধির চাপ যে বাড়ছে, সে ব্যাপারে একমত নোমুরা, ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা মেরিল লিঞ্চ (বিওএফএএমএল) এবং মর্গ্যান স্ট্যানলির মতো উপদেষ্টা সংস্থা।
একটি গবেষণাপত্রে নোমুরা জানিয়েছে, ‘‘নভেম্বরেই খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আমাদের ধারণা।’’ এমনকী ২০১৮ সাল জুড়ে এই মূল্যবৃদ্ধি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা ৪ শতাংশের উপরে থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে তারা।
পাশাপাশি, বিওএফএএমএলের ইঙ্গিত, নভেম্বরে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ৪.৫ শতাংশের আশেপাশে থাকবে। তবে মোদী সরকারের পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত, মজুতদারি রুখতে ব্যবস্থা আগামী দিনে মূল্যবৃদ্ধিকে বাগে আনতে সাহায্য করবে।
মর্গ্যান স্ট্যানলি-র অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, খাদ্য ও তেলের দাম ছাড়াও মূল্যবৃদ্ধিকে টেনে তুলবে বেশ কিছু রাজ্যে কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি। তবে বেশির ভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে জিএসটি কমিয়ে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত মূল্যবৃদ্ধির চাপ কমাতে কিছুটা সাহয্য করবে।
প্রসঙ্গত, গত জুন থেকেই ক্রমাগত বাড়ছে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি। সেই সঙ্গে ঢিমেতালে এগোচ্ছে শিল্পোৎপাদন। সব মিলিয়ে ভারতের অর্থনীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় গত সপ্তাহে মুডিজ রেটিং বাড়ালেও রাজকোষ ঘাটতি এবং বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা এখনও মাথাব্যথার কারণ বলে মনে করছেন তাঁরা।